ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লংগদুতে ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৭ জুন ২০১৭

লংগদুতে ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় পাহাড়ী আদিবাসীদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)। জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র। সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর উপস্থিতিতে সংঘটিত এমন ঘটনা সারাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বে চরম আঘাত। এ ধরনের ঘটনা ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে রাষ্ট্রীয় মদদে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে এবং হত্যাকা- ঘটিয়ে সংখ্যালঘুদের বিতাড়িত করার লোমহর্ষক ঘটনাসমূহ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সংখ্যালঘুদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে দাবিদার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে এমন দুঃস্বপ্ন কাম্য নয়। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। বাগাছাস ঢাকা মহানগরের সভাপতি অলিক মৃয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অনুপ হাদিমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা, চানচিয়ার সমন্বয়ক আন্তনী রেমা, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠনের আহ্বায়ক আশিষ হাজং, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দফতর সম্পাদক নয়সমং মারমা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল টিএসসি চত্বর হয়ে অপরাজেয় বাংলায় গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাসমূহে একের পর এক ঘরবাড়ি পোড়ানো এবং হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ভাবিয়ে তুলেছে। স্বাধীনতার পর থেকে নানান সময় বিভিন্ন সরকারের আমলে সেনাবাহিনী এবং স্যাটেলার বাঙালীদের দ্বারা গণহত্যা, অগ্নিসংযোগসহ অনেকগুলো বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ওই সব ঘটনার গ্রহণযোগ্য তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করা হয়নি। ফলে আরেকটি সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটানোর জন্য উৎসাহ পেয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচী নেয়া হবে।
×