ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন কোন নৌযান দেশে নেই ॥ নৌমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৭ জুন ২০১৭

লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন কোন নৌযান দেশে নেই ॥ নৌমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ নৌপরিবহন অধিদফতরের পরিসংখ্যান মোতাবেক দেশে লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন কোন নৌযান নেই বলে দাবি করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরপর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন। মন্ত্রী বলেন, লঞ্চ চলাচলের জন্য প্রথমত নৌপরিবহন অধিদফতর ফিটনেস প্রদান করে থাকে। ফিটনেস সনদের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক রুট পারমিট এবং টাইম টেবিল প্রদান করা হয়। ফলে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচলের কোন সুযোগ নেই। তবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনিবন্ধিত ছোট ছোট কিছু পণ্যবাহী, বালিবাহী, যাত্রীবাহী বোট চলাচল করে বলে স্বীকার করেন মন্ত্রী। মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জ্বালানি তেল পরিবহনে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিএসসি’র সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর মধ্যে চীন সরকারের ঋণ সহায়তায় ছয়টি নতুন জাহাজের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাঙ্কার, যা পরিশোধিত তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হবে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোারেশনের আওতায় তিনটি জাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে দুটি ক্রুড অয়েল লাইটারেজ ট্যাঙ্কার, একটি কন্টেইনার জাহাজ। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের আওতাধীন জাহাজগুলোর সেবার মান ও এটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারী দলের অপর সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী শাজাহান খান জানান, বর্তমানে দেশে নদী খননের জন্য সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন বিআইডব্লিউটিএ’র অধীনে ২১টি ড্রেজার রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে দুটি, ১৯৭৫ সালে পাঁচটি, ২০১১ সালে তিনটি, ২০১৪ সালে আটটি এবং ২০১৬ সালে তিনটি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। সবগুলো ড্রেজারই সচল রয়েছে। তবে নদী খনন কার্যক্রম ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়াতে ২১টি ড্রেজার খনন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়। এ কারণে আরও ২০টি ড্রেজার ক্রয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ২০১৯ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। এবার হজে যাবেন ১,২৭,১৯৮ জন ॥ তরিকত ফেডারেশনের সদস্য এম এ আউয়ালের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান জানান, চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এর মধ্যে ব্যালটি ১০ হাজার এবং নন-ব্যালটি ১ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন। ব্যালটি ১০ হাজারের মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জনকে নন-ব্যালটি হিসেবে স্থানান্তরের জন্য সৌদি সরকারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
×