ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে দাদা-নাতির মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৬ জুন ২০১৭

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে দাদা-নাতির মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ৫ জুন ॥ কাউনিয়ায় ঘাস কাটতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে থাকা দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে নাতিরও মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ বানিয়াটারী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পারিবারের লোকজন জানান, ওসমান গনি (৭৫) বাড়ির পাশে পুকুরের ধারে গরুর জন্য ঘাস কাটার জন্য যান। এ সময় পাশের বাড়ি থেকে সংযোগ নেয়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে থাকায় তিনি তা দেখতে না পেয়ে ঘাস কাটতে থাকেন। একপর্যায়ে তারের ওপর হাত পড়লে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে যান ওসমান গনি। তার চিৎকার শুনে নাতি ইউনুছ আলী (২০) দাদাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান এবং তিনিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্থানীয়রা বিদ্যুত বিভাগে খবর দিলে তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর ওই দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর সুযোগ মিলছে না নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ৫ জুন ॥ স্বাবলম্বী জীবন গড়ে তোলার প্রলোভন দিয়ে জয়পুরহাটসহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার দরিদ্র আদিবাসীদের ধর্মান্তর করে খ্রিস্টান বানানোর হীন চক্রান্তের প্রতিবাদে সোমবার জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে ধর্মান্তরিত পাঁচবিবির আদিবাসীরা সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগ তুলে ধরে। চার্চ অব দ্য ন্যাজারীন নামের এনজিও পরবর্তিতে নাম পরিবর্তন করা নিউ ভিশন নিউ ট্রাস্ট নামের জয়পুরহাট, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে দরিদ্র আদিবাসীদের খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তর করার কার্যক্রম শুরু করে। এ এনজিওটি দরিদ্র আদিবাসীদের চাকরি, ছেলেমেয়েদের স্কুল ও চার্চ প্রতিষ্ঠা, সপ্তাহে ৬ দিন ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টিমানের খাদ্য সরবরাহ করাসহ নানা ধরনের প্রলোভন দিয়ে তাদের ধর্মান্তরিত করে। পরবর্তিতে তাদের যে কথা বলে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছিল সেই সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে তাদের উপেক্ষা করে এ জেলাগুলোর অন্য এলাকায় আরো আদিবাসীদের ধর্মান্তরিত করা শুরু করলে আগের ধর্মান্তরিত আদিবাসীরা প্রতিবাদ করে। পরবর্তিতে তাদের নানা রকমের হুমকিধমকি দিয়ে এবং তাদের বিরুদ্ধে নানা রকমের অনৈতিক অভিযোগ এনে এনজিও সংগঠন থেকে বের করে দেয়া হয়। এনজিও সংগঠনের এ সমস্ত অপতৎপরতা এবং মিথ্যা চার্চ গঠনের খবর নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীরা দেয়। জয়পুরহাট জেলায় ১১৮টি চার্চ (ম-লী) স্থাপন করা হয়েছে দেখানো হলেও মাত্র ২৮টি ম-লীর অবস্থান রয়েছে বলে আদিবাসী নেতারা জানায় সংবাদ সম্মেলনে।
×