ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে এক পরিবার

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৬ জুন ২০১৭

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে এক পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস সালাম ওরফে আশরাফ আলী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আহত অবস্থায় যশোর এসে সংবাদ সম্মেলনে গুরুতর এই অভিযোগ করেন তিনি। তার দাবি, গত ২৯ এপ্রিল একই গ্রামের ‘মাদক ব্যবসায়ী’ মাবুদ মিয়া ও তার ক্যাডাররা আশরাফ আলীর হাত-পায়ের রগ কেটে নগদ তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর জড়িত সন্ত্রাসীদের নামে মামলা করে তিনি এখন জীবন আশঙ্কায় ভুগছেন। সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আশরাফ আলী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী সালমা বেগম, ছোট ভাই মুনিরুজ্জামান, ভাইয়ের স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে মহিদুল ইসলাম নিশাত প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল আশরাফ আলী নগদ তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে চৌগাছা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে সুখপুকুরিয়া গ্রামের ঠাকুরদরগা এলাকায় একই গ্রামের মাবুদ মিয়া ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা আশরাফ আলীর হাত ও পায়ের রগ কেটে টাকা লুট করে নেয়। এ সময় তার সঙ্গে স্ত্রী সালমা বেগমকেও মারপিট করা হয়। গুরুতর আহত আশরাফ আলীকে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। এ ঘটনার পরদিন আশরাফ আলীর ছোট ভাই ইসরাফিলের স্ত্রী সাবিনা খাতুন চৌগাছা থানায় মামলা করেন। তবে ঘটনার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও মিলন নামে মাত্র এক আসামিকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। তাও সে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীরা এখন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। না হলে হত্যা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ভয়ে আমার ছেলে নবম শ্রেণীপড়ুয়া নিশাতের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। সে ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না, অভিযোগ করেন আশরাফ। সংবাদ সম্মেলনে আশরাফ আলীর স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে যারা চিরতরে পঙ্গু করে দিয়েছে, আমি তাদের বিচার চাই। কিন্তু পুলিশ তাদের আটক করছে না। উল্টো সন্ত্রাসীরা আমাদের এখন হুমকি দিচ্ছে। আমার ছেলের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা এখন জীবনাশঙ্কায় ভুগছি।
×