ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আবাহনীর জয়ে শিরোপা গাজীর ঘরে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৬ জুন ২০১৭

আবাহনীর জয়ে শিরোপা গাজীর ঘরে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। কারণ সোমবার হার কিংবা জিত কোনটারই স্বাদ নিতে পারেনি তারা প্রতিপক্ষ প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। বৃষ্টির হানায় বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গাজী-দোলেশ্বর এবং চার নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব-মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচটি শেষ হয়নি। বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচের বাকি অংশ আজ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ফতুল্লায় বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে আবাহনী ডার্কওয়াথ-লুইস পদ্ধতিতে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতে যাওয়ায় শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে গাজীর। আবাহনীর অফস্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুব চলতি লীগের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন। গাজী হেরে গেলেও তিন দলের (গাজী, আবাহনী, দোলেশ্বর) পয়েন্ট সমান ২৪ হয়ে যাবে এবং সেক্ষেত্রে ত্রিমুখী হেড-টু-হেড বিচারে সর্বাধিক ৩ জয় পাওয়ায় শিরোপা গাজীর। আর গাজী জিতে গেলে পয়েন্টে সবচেয়ে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন তারা। হিসেব মাত্র একটাই ছিল- আবাহনী যদি শেখ জামালের কাছে হেরে যায় এবং দোলেশ্বর যদি গাজীকে হারিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে শিরোপা নির্ধারণ হতো নেট রানরেটের ভিত্তিতে। কারণ এক্ষেত্রে গাজী ও দোলেশ্বরের পয়েন্ট সমান ২৪ হয়ে যেত এবং হেড-টু-হেড বিবেচনায় উভয় দল ১টি করে ম্যাচ জিতেছে। এ কারণে সোমবার আবাহনী-জামাল এবং গাজী-দোলেশ্বর ম্যাচ দুটির দিকে বিশেষ নজর ছিল সবার। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গাজী টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে। ফরহাদ রেজার দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৫৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। এমনকি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাসির হোসেনও বিদায় নেন ৩ রান করে। মুমিনুল হক ৪২ বলে ৪ চারে ৩৮ রান করে আউট হওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে নাদিফ চৌধুরী ও জহুরুল ইসলাম ৮৭ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কিছুটা কাটিয়েছেন। নাদিফও ৬৮ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপরই বৃষ্টি নামে। জহুরুল ৪৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রানে তখনও অপরাজিত। আর খেলা হয়নি। ৩৩ ওভারে গাজীর সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৪২। ফরহাদ দুটি উইকেট শিকার করেছেন। আজ ঠিক এই অবস্থা থেকেই খেলা শুরু হবে। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠেও বৃষ্টির কারণে খেলা শেষ হয়নি। প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে টস হেরে মোহামেডান নাজমুল হোসেন মিলনের ৫৩ বলে ২ চার ও ২ ছয়ে করা ৫৩ এবং শামসুর রহমানের ৪৫ বলে ৪ চারে ৩৪ রানের সুবাদে ৪৩.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে। আসিফ আহমেদ নেন দুটি উইকেট। ফতুল্লায় টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে জামাল। ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটির পর দলীয় ৯৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। ফজলে মাহমুদ ২৩ বলে ৭ চারে ৩৪ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩৬ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আবাহনীর বোলাররা। শুধুমাত্র মাহবুবুল করিম ৫৯ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৬০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। ৩০.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬২ রান তোলে শেখ জামাল। ইনিংসের ১৪তম ওভারে আফিফ নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে রাসেল আল মামুনকে স্টাম্পিং, সোহাগ গাজীকে ক্যাচ ও জিয়াউর রহমানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে আটকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। উল্লেখ্য, বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেন চলতি লীগে অপর হ্যাটট্রিক করেছিলেন। তিনি ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন। এরপর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা, পরে ম্যাচ শুরু হলে আবাহনীকে ২০ ওভারে ১২৪ রানের লক্ষ্য দেয়া হয়। সাইফ হাসানের ৪০ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ এবং সাদমান ইসলামের ২৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় করা ৩৩ রানে জয় পেয়ে যায় আবাহনী। মোহাম্মদ মিঠুন ২২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রানে অপরাজিত থাকলে ১৭.২ ওভারে ১২৪ রান তুলে ফেলে তারা ৪ উইকেট হারিয়ে। তানবির হায়দার নেন ১৪ রানে ২ উইকেট।
×