ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ’

ট্রাম্পের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করলেন সাদেক খান

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৬ জুন ২০১৭

ট্রাম্পের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করলেন সাদেক খান

লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলার পর জনগণের উদ্দেশে দেয়া তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। রবিবার লন্ডন ব্রিজ ও বারো মার্কেটে পরিচালিত হামলায় ৭ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়। খবর বিবিসি। আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে লন্ডনবাসীকে আশ্বস্ত করতে গিয়ে কার্যত সাদিক খান এর গুরুত্ব হাল্কাভাবে দেখছেন বলে ট্রাম্প তার টুইটে উল্লেখ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট লন্ডনে হামলার পরপরই এক টুইট বার্তায় ব্রিটেনের প্রতি তার সমর্থন ও সহমর্মিতা প্রকাশ করার পাশাপাশি ছয়টি মুসলিম দেশের প্রতি তার আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এবং তা অনুমোদন করতে মার্কিন আদালতগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি লন্ডনের মেয়রের পুরো বক্তব্য না শুনেই তাকে খোঁচা দিয়ে বলেন, কমপক্ষে ৭ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হওয়ার পরও লন্ডনের মেয়র বলছেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই!’ ট্রাম্পের এই টুইট বার্তায় ব্রিটেনের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়। কারণ এর আগেই এক সাক্ষাতকারে সাদিক খান বলেন, সঙ্গত কারণেই আজ এ পরবর্তী কয়েকটি দিন লন্ডনে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিতি থাকবে। তবে তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। ম্যানচেস্টারের পর লন্ডনবাসীদের মধ্যে রবিবারের সন্ত্রাসী হামলা এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির জন্ম দেয়। নগরীর মেয়র হিসেবে আতঙ্কগ্রস্ত লন্ডনবাসীদের উদ্দেশে সাদিক খানের আশ্বাস বাণী অপ্রাসঙ্গিক কিছু ছিল না, কিন্তু তাকে এভাবে খোঁচা দিয়ে কথা বলায় বিষয়টিকে ট্রাম্পের বালখিল্য আচরণ বলে অনেকে মনে করছেন। মেয়র সাদিক খানের এক মুখপাত্র বলেন, মেয়রকে এখন পুলিশ, জরুরী স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য সরকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হচ্ছে। মেয়রের পক্ষে এখন তার (ট্রাম্পের) কথার জবাব দেয়ার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সাদিক খানের সহকর্মীদের একজন এ সময় মন্তব্য করেন যে, ট্রাম্পের কথার জবাব দেয়ার কীই বা আছে, তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে মেয়রের সমালোচনা করেছেন। সাদিক খানকে ট্রাম্পের এই ব্যক্তিগত আক্রমণের কারণ খুঁজতে বেশ কয়েক মাস পেছনে যেতে হবে। গত বছরের শেষদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে সকল মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেছিলেন। তবে সেই সঙ্গে লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে সাদিক খানের যুক্তরাষ্ট্রের দরজা খোলা বলে জানিয়েছিলেন। সাদিক খান তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি শুধু আমার বিষয় নয়, বরং আমার বন্ধু, আমার পরিবার এবং সারাবিশ্বে সবার জন্য অবমাননাকর। সেই সঙ্গে তিনি ইসলাম সম্পর্কে ট্রাম্পের অজ্ঞতাকে দায়ী করে বলেন, তার এসব পদক্ষেপের দরুন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয় রাষ্ট্রই নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
×