ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লংগদুতে পাহাড়ীদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৬ জুন ২০১৭

লংগদুতে পাহাড়ীদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

সংসদ রিপোর্টার ॥ লংগদুতে পাহাড়ীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ‘পূর্বপরিকল্পিত’Ñ এমন অভিযোগ করে এ ঘটনার তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। তিনি বলেন, যুবলীগের নেতা নয়ন হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তি দাবি করি। একই দাবি করেছেন বিএনএফের সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদ। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে পাবর্ত্যাঞ্চলের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেন, একজন মারা গেছেন সেই সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে দুর্বৃত্তরা পাহাড়ীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। সেখানে দুই শতাধিকের বেশি ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা পাহাড়ে, জঙ্গলে আতঙ্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালেও লংগদুতে এ ধরনের হামলা হয়েছিল। এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করতে হবে। পাশাপাশি সংসদের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করা দরকার। যাতে পাহাড়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দূর হয়। স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা খাদ্যের সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। তাদের খাদ্যে নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়াতেই এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে। আমি পার্বত্য চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। একই দাবি জানান বিএনএফ প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ। তিনিও লংগদুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। খেলতে না আসায় অস্ট্রেলিয়ার সমালোচনা ॥ নিরাপত্তা ঘাটতির অজুহাত দিয়ে বাংলাদেশে খেলতে না আসা অস্ট্রেলিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন জাসদের সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সুযোগ নিয়ে তিনি সমালোচনা করে বলেন, উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশের প্রতি তাদের নিজেদের অন্যায়-অভিমত চাপিয়ে দেয়। যেটা বন্ধ হওয়া উচিত। জাসদ নেতা বলেন, গত শনিবার লন্ডন রক্তাক্ত হয়েছে। লন্ডন এ বছর মোট ৩ বার রক্তাক্ত হয়েছে। যেখানে গত শনিবার রক্তাক্ত হয়েছে তার ২ কিলোমিটারের মধ্যে হোটেলে আমাদের ক্রিকেট দল অবস্থান করছিল। সেখানে অস্ট্রেলিয়া দলও রয়েছে। অথচ অস্ট্রেলিয়া বলেছিল, বাংলাদেশে নিরাপত্তা নেই। তারা খেলতে আসেনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, ম্যানচেস্টার এবং লন্ডনে এই যে ঘটনাগুলো ঘটলো এর পরে অস্ট্রেলিয়া তো বলেনি খেলা বন্ধ করে তারা দেশে ফেরত যাবে। অথচ বাংলাদেশের প্রতি যে আচরণটি তারা করল সেই আচরণ এ ক্ষেত্রে কিন্তু অনুপস্থিত। বিশ্বের তথাকথিত মাতব্বরেরা অত্যন্ত অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ওপর নিজেদের অন্যায়-অবিবেচনা প্রসূত অভিমত চাপিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আজকে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কেউ নিরাপদ নয়। সন্ত্রাসবাদ সারাবিশ্বের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এ কথাটিই বাংলাদেশ বলেছিল। বাংলাদেশ এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে।
×