ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফেডারেশন কাপ ফুটবল

ফাইনাল মহারণ দুই আবাহনীর

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ৫ জুন ২০১৭

 ফাইনাল মহারণ দুই আবাহনীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনেকটা দুই স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদ ও এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতো বিষয়টা। এই দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী তিন বছরের মধ্যে দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলেও এমন আবহের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় দুই আবাহনী। মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে কাক্সিক্ষত এই ফাইনাল। যেখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ প্রথমবার ফাইনালে উঠে আসা চট্টগ্রাম আবাহনী। দুই ভাইয়ের ফাইনাল নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ট্রফি ধরে রাখতে যেমন মরিয়া আকাশী-হলুদ জার্সিধারীরা। তেমনি প্রথমবার ফাইনালে এসেই বাজিমাত করতে চায় বন্দর নগরীর দলটি। প্রথম সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট কেটেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। দ্বিতীয় সেমিতে একই ব্যবধানে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে এসেছে রাজধানীর আবাহনী। ফেডারেশন কাপের নয়বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী শেখ জামালের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে গোল পায়নি। বিরতির পর ৬৫ মিনিটে তিনবারের প্রচেষ্টায় কক্সিক্ষত গোল করে এগিয়ে যায় আবাহনী। বক্সের ভেতর আবাহনীর মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদের শট ফিরিয়ে দেন জামাল গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম। বল চলে যায় আবাহনীর ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবনের পায়ে। জটলা থেকে তার শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ইয়াসিন খানের পায়ে লেগে গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে চলে যায় আবাহনীর এমেকা ডার্লিংটনের পায়ে। সেই সুযোগ নষ্ট করেননি গত মৌসুমেই শেখ জামালের জার্সি গায়ে খেলা এই নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড। দেখে শুনে ঠা-া মাথায় জালে বল পাঠিয়ে দিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে মেতে ওঠেন উল্লাসে। আবাহনীর কোচ দ্রাগো মামিচ এখন শুধু শিরোপা নিয়েই ভাবছেন। এই বিদেশী কোচ বলেন, আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে। সেটা কাজে লাগাতে চায়। আমরা ট্রফির জন্যই খেলব। দু’দলের সামনেই হাতছানি ছিল প্রথমবারের মতো ‘ড্রিম ফাইনাল’ খেলার। সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। আর হতাশ হতে হয়েছে রহমতগঞ্জকে। ফাইনালে আসা বন্দর নগরীর দলটিও এখন শিরোপা স্বপ্নে বিভোর। অথচ আগে তারা ছিল দুর্বল দল। প্রিমিয়ার লীগে অংশ নিত রেলিগেশন এড়াতে। বছর দুয়েক আগে বড় বাজেটের বিনিময়ে শক্তিশালী দুই-তিনটি ক্লাব থেকে খেলোয়াড় সংগ্রহ করে নতুনভাবে দলগঠন করার পরপরই রাতরাতি খোলনলচে পাল্টে যায় গোটা দলের। ২০১৫ সালে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তাক লাগিয়ে দেয় তারা। ২০১৬ সালে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলেরও শিরোপা জয় করে দলটি। ওই বছরেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে রানার্সআপ হয়ে রাখে কৃতিত্বের স্বাক্ষর।
×