নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ৪ জুন ॥ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ৯শ’ গ্রাম ওজনের জন্ম নেয়া শিশু সাইমিম আরা শিনহাকে চিকিৎসা ও নিবিড় পরিচর্যায় সুস্থ করে তুলেছেন
হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সরা। ৯ মে সাইমিম মাত্র ২৮ সপ্তাহে কুমুদিনী হাসপাতালে জন্ম নেয়। ডাক্তারা জানিয়েছেন, এত কম ওজনের জন্ম নেয়া শিশুর শতকরা ৯৯ ভাগই মারা যায়। স্বাভাবিক ক্ষেত্রে শিশুরা ৩৬ সপ্তাহে জন্ম নিয়ে আড়াই কেজি ওজন হয়।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের বাইমহাটি গ্রামের শাকিল ইসলামের স্ত্রী ইসরাত জাহান নীলা প্রসব ব্যথা নিয়ে ৮ মে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। পূর্ণ মাস শেষ হওয়ার আগেই ৯ মে ২৮ সপ্তাহে নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে ইসরাত একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। কন্যা সন্তানের ওজন হয় মাত্র ৯শ’ গ্রাম। ডাক্তারদের মতে, অস্বাভাবিক কম ওজনে জন্ম নেয়া শিশুর শতকরা ৯৯ ভাগই মারা যায়। কিন্ত হাসপাতালের চিকিৎসকগণ টিম গঠন করে চিকিৎসা ও নিবিড় পরিচর্যায় শিশুটিকে সুস্থ করে তোলেন।
রবিবার সকালে কুমুদিনী হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, মা ইসরাত জাহান তার শিশুকন্যা শিনহাকে কোলে নিয়ে বসে রয়েছেন। ইসরাত বলেন, জন্মের পর মেয়ের ওজন খুব কম হওয়ায় চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের সেবা পেয়ে আমি এবং আমার কন্যা এখন সুস্থ।
কুমুদিনী হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ আব্দুল মতিন বলেন, অল্প বয়সে বিয়ে হওয়া, জরায়ুর সমস্যা, অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণসহ নানাবিধ কারণে এ ধরনের অস্বাভাবিক কম ওজনের শিশু জন্ম নেয়।