ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খেজুরের উপকারিতা!

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৫ জুন ২০১৭

খেজুরের উপকারিতা!

রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকতে হয়, যার কারণে শরীরে প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ বিদ্যমান থাকায় সহজেই এ ঘাটতি পূরণ হয়। খেজুর খুব দ্রুত শারীরিক দুর্বলতা দূর করে স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে। গরম কিংবা ঠা-াজনিত জ্বর বা সংক্রামক জ্বর, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করে খেজুর। খেজুরের রয়েছে নানা গুণ। খেজুরে রয়েছে পানি, খনিজ পদার্থ, আমিষ, শর্করা, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২ ও সামান্য পরিমাণ ভিটামিন সি। খেজুরে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকায় শরীর সুস্থ রাখতে শুধু রমজান মাসে নয়, সারাবছরই খাদ্য তালিকায় খেজুর থাকা দরকার। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে সন্তান জন্মের সময় জরায়ুর মাংস পেশীর দ্রুত সঙ্কোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসবের জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এছাড়াও এ ফল প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠ কাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার, ফাইবার রয়েছে, যা বয়সের সঙ্গে বেড়ে ওঠা বলিরেখাকে অনেকাংশে দূর করে। বলিরেখা এসে গেলে তা যে কমিয়ে দিতে পারে তা না, তবে আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে তা আপনার চেহারায় বলিরেখা আসার সময় কিছুটা মন্থর করতে পারে। খেজুরে ভিটামিন সি থাকায় চুল ও ত্বক ভাল রাখে। ফুসফুস সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেজুর খেলে হৃদরোগ ভাল হয়। খেজুরে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম দাঁত ভাল রাখতে সাহায্য করে। খেজুর রক্ত উৎপাদন করে শরীরের রক্তের চাহিদা পূরণ করে। খাবার হজম করতে সহয়তা করে, খাবারে রুচি বাড়ায়। তবে মনে রাখতে হবে যে ডায়াবেটিক রোগীদের ২টার বেশি খেজুর দিনে খাওয়া উচিত নয়। অনেক সময় দেখা যায় মোটা থেকে রোগা হলে চেহারা ও মুখের ত্বক অনেকটা আলগা হয়ে ঝুলে আসে। এক্ষেত্রে খেজুর খুবই উপকারী, কারণ খেজুরের পুষ্টিগত যোগত্যার কারণে তা ত্বককে নরম ও মোলায়েম করে পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেড করে। খেজুর থেকে যে তেল বের হয় তা পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। এই তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং তুলের গোড়া মজবুত করে। ফলে চুল বিনা বাঁধায় তাড়াতাড়ি বাড়তে পারে। যাপিত ডেস্ক
×