ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মসুলে আইএস জঙ্গীদের গুলিতে বহু বেসামরিক লোক নিহত

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ৫ জুন ২০১৭

মসুলে আইএস জঙ্গীদের গুলিতে বহু বেসামরিক লোক নিহত

ইরাকী শহর মসুলে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপ অধিকৃত এক এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। খবর বিবিসি অনলাইনের। এক সংবাদ সংস্থার টিভি ক্রু শহরের জানজিলি এলাকায় এক রাস্তায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন। ঠিক কতজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। এক মার্কিন ত্রাণকর্মীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় যে, আইএস পলায়নরত লোকদের ওপর গুলি চালিয়েছে। ইরাকী সেনাবাহিনী মসুল পুনর্দখলের জন্য অক্টোবরে এক বড় ধরনের অভিযোগ শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে এ আক্রমণ অভিযানে সহযোগিতা করছে। ইরাকী কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক রিপোর্ট সম্পর্কে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানজিলির রাস্তায় শনিবার মৃতদেহগুলো পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আইএসের অধিকারে শহরে এখনও যে তিনটি রণাঙ্গন এলাকা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে জানজিলি একটি। ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স ত্রাণ সমিতির ডেভ ইউবাঙ্ক বলেন, আইএস দুদিন ধরে এলাকা থেকে পলায়নরত নাগরিকদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (শুক্রবার) ৫০টির বেশি মৃতদেহ দেখেছি। আমরা আমেরিকানদের সঙ্গে কাজ করছিলাম। একটি ছোট্ট মেয়ে ও একজন পুরুষকে উদ্ধার করেছি আমরা। কিন্তু, আরও অনেকে সেখানে আছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আহত হয়েছে আইএস জঙ্গীদের লক্ষ্য করে চালানো জোটের বিমান হামলায়। রিপোর্টে বলা হয়, কয়েকশ’ বেসামরিক লোক সরকারী যানবাহনে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ছিল আহত। কাউকে দেখা গেছে কম্বলে জড়ানো মৃতদেহ বইতে। আইএস জঙ্গীরা চেয়েছে, তাদের চিনে নিয়ে ও তাদের আক্রমণের লক্ষ্যে সরকারী সৈন্যদের অগ্রসর কঠিন করে তোলার জন্য তাদের চারদিকে বেসামরিক লোকদের ধরে রাখতে। সরকারী বাহিনী ও তাদের যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট জঙ্গীদের ঘিরে ফেলায় স্থানীয় বাসিন্দারা চরম নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে। লন্ডনে ছুরিকাঘাতে আরও এক কিশোর নিহত ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের একটি রাস্তায় ছুরিকাঘাতে আব্দিরহমান মুহাম্মদ (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টার পরপরই দক্ষিণ লন্ডনের পেকহ্যাম এলাকার সাউথহ্যাম্পটন সড়কে টেসকো এক্সপ্রেস স্টোরের কাছে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। খবর বিবিসির। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আব্দিরহমান মুহাম্মদকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ আছে কি-না তা খুঁজে দেখছে পুলিশ। নিহত আব্দিরহমান পেকহ্যামের পার্শ্ববর্তী ক্যাম্বারওয়েলের বাসিন্দা। তাকে নিয়ে চলতি বছর লন্ডনে ছুরিকাঘাতে নিহত কিশোরের সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল। আব্দিরহমানের মৃত্যুতে তার পরিবার সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান পরিদর্শক ডিয়ানি টুডওয়ে। এই হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয় জানিয়ে তিনি বলেছেন, কেন আব্দিরহমানকে ছুরিকাঘাত করা হল তার কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে।
×