ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রেইন ট্রি হোটেলে ধর্ষণ

ফরেনসিক প্রতিবেদন জমা

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ৪ জুন ২০১৭

ফরেনসিক প্রতিবেদন জমা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনার ফরেনসিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শনিবার দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার জানান, ফরেনসিক প্রতিবেদন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশে মামলায় জব্দ করা বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা করা হয়। সিআইডি সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার এক শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত পোশাক ও মামলার আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে হালিমের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া আসামিদের কাছ থেকে জব্দ করা ছয়টি মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদনও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এসব পরীক্ষায় ধর্ষণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত এখনই বলা সম্ভব নয়। এছাড়া রেইন ট্রি হোটেল থেকে জব্দ করা সিসি টিভির সার্ভার মেশিন ও হোটেলে অবস্থানের নথিও পরীক্ষা করা হবে। ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর মামলার বিবরণ অনুযায়ী জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলের একটি কক্ষে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে সারারাত আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ এবং তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে হালিম। এই ঘটনায় সহযোগিতা করে রেগনাম গ্রুপ ও পিকাসো রেস্তরাঁর অন্যতম মালিক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন এবং তার দেহরক্ষী রহমত আলী। গত ৬ মে এই ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় তাদের আসামি করে মামলা হয়। মামলার সব আসামি গ্রেফতার হয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রধান আসামি সাফাত, সাদমান, নাঈম আশরাফ, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী এবং গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
×