ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাক-ভারত স্মরণীয় পাঁচ ওয়ানডে

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ৪ জুন ২০১৭

পাক-ভারত স্মরণীয় পাঁচ ওয়ানডে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বহুল আলোচিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আজ। উন্মাদনার ম্যাচে মুখোমুখি চিরশত্রু দুই দেশ। নিচে দুই দলের স্মরণীয় পাঁচ ওয়ানডের চিত্র তুলে ধরা হলো- * এপ্রিল ১৮, ১৯৮৬ (শারজাহ), পাকিস্তান ১ উইকেটে জয়ী এমন একটি ম্যাচ সীমান্তবর্তী দুইদেশের কোন সমর্থক ভুলতে পারবে না। অস্ট্রেলেশিয়া কাপের শিরোপা স্পর্শ করতে ইনিংসের শেষ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন চার রান। ভারতীয় পেসার চেতন শর্মার একটি ফুল টস বলে পুল করে ছক্কা হাঁকান জাভেদ মিঁয়াদাদ। তাৎক্ষণিকভাবে মিঁয়াদাদ পাকিস্তানের জাতীয় বীরে পরিণত হন। পক্ষান্তরে খলনায়কে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি দেশে ফিরে অপমানিত হন শর্মা। * মার্চ ১, ২০০৩ (সেঞ্চুরিয়ন), ভারত ৬ উইকেটে জয়ী বিশ্বকাপের ম্যাচটি ছিল দুই বিশ্ব তারকা ভারতের শচীন টেন্ডুলকর ও পাকিস্তানী ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের মধ্যকার লড়াই। ৭৫ বল মোকাবেলায় শচীন ৯৮ রান করে দলকে ২৭৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। পক্ষান্তরে আখতার ১০ ওভারে ৭২ রান খরচ করে কেবল শচীনের উইকেটটিই শিকার করতে সক্ষম হন। ম্যাচের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন পাকিস্তান ওপেনার সাঈদ আনোয়ার (১০১)। * সেপ্টেম্বর ১৯, ২০০৪ (এজবাস্টন), পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী আজ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারলে পাকিস্তান আনন্দিত হবে। চার বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই এজবাস্টনেই চার বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছিল পাকিরা। রানা নাভেদ ও শোয়েব আখতারের চার উইকেট শিকারে ‘টেনিস এলবো’ ইনজুরির কারণে শচীন টেন্ডুলকরবিহীন ভারত মাত্র ২০০ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে এক পর্যায়ে ২৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। তবে ইউসুফ ইয়োহানার (মোহাম্মদ ইউসুফ) অপরাজিত ৮১ রানে ভর করে জয় পায় পাকিস্তান। * মার্চ ২০, ২০১১ (মোহালি), ভারত ২৯ রানে জয়ী বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিজ মাঠে জয় পায় ভারত। অবশ্য এক্ষেত্রে কৃতিত্বটা বেশি সফরকারীদের। কেননা তারা ৮৫ রান করা শচীন টেন্ডুলকরের ক্যাচ ফেলেছিলেন চার বার। এছাড়া দুইবার এলবিডব্লিউর হাত থেকে বেঁচে যান তিনি। এরপর স্বাগতিকদের টাইট ফিল্ডিংয়ের কারণে পাকিস্তানের আর জয় সম্ভব হয়নি। মিসবাহ-উল-হক ৭৬ বল খেলে মাত্র ৫৬ রান করায় দারুণভাবে সমালোচিত হন। * মার্চ ২, ২০০৪ (ঢাকা), পাকিস্তান ১ উইকেটে জয়ী ঢাকায় এশিয়া কাপ ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে ভারত ৮ উইকেটে ২৪৫ রান করলে জয়ের জন্য ৪ উইকেট হাতে থাকা পাকিস্তানের দরকার পড়ে শেষ ১০ বলে ১১ রান। কিন্তু দ্রুত তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। বরিচন্দ্রন অশ্বিনের ওভারে শেষ চার বলে পাকিস্তানের দরকার ৯ রান। আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত শহীদ আফ্রিদি পরপর দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। র‌্যাপিড দাবায় নাঈম চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাব আয়োজিত রেডিয়াস একাডেমি উন্মুক্ত র‌্যাপিড রেটিং দাবা প্রতিযোগিতায় উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাব সদস্য নাঈম হক অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। সাত খেলায় সাড়ে ৬ পয়েন্ট লাভ করেন তিনি। সমান খেলায় ৬ পয়েন্ট পেয়ে রানারআপ হন আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল। সাড়ে ৫ পয়েন্ট পেয়ে টাইব্রেকিংয়ে তৃতীয় থেকে পঞ্চম হন যথাক্রমে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল চেস ক্লাবের ফিদেমাস্টার মেহেদী হাসান পরাগ, উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাবের ক্যান্ডিডেট মাস্টার সোহেল চৌধুরী, উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাবের মঞ্জুর আলম, শেখ মোঃ খায়রুল ইসলাম। অনুর্ধ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন স্বর্নাভ চৌধুরী। বেস্ট নন-রেটেড পুরস্কার লাভ করেন আফজাল হোসেন।
×