ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একাদশে পরিবর্তন!

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৪ জুন ২০১৭

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একাদশে পরিবর্তন!

মেহেদী হাসান মিরাজকে কেন খেলানো হলো না? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৫ রান করেও ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের পর এই একটি প্রশ্নই সবার মুখে মুখে। যেখানেই ক্রিকেটাররা যাচ্ছেন। যেখানেই বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে কেউ পাচ্ছেন। কিংবা যেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাউকে কেউ পাচ্ছেন। এই একটি প্রশ্নই ছুড়ে দিচ্ছেন। উত্তর বিশেষ একটা নেই। তারপরও সবাই একই উত্তর দিচ্ছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ থেকে ৩০টা রান কম হয়েছে। মিরাজ থাকলেও যে বাংলাদেশ জিতে যেত এমনটিও নয়। তবুও প্রশ্ন উঠছে তো উঠছেই। আর তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সোমবার যে ম্যাচটি রয়েছে সেখানেই একাদশে বদল আসছে। মিরাজকে একাদশে নেয়া হচ্ছে। দলসূত্রে তাই খবর জানা গেছে। এখানেই আবার আরেকটি প্রশ্নও জেগে গেছে? যদি মিরাজকে নেয়া হবে তাহলে একাদশ থেকে বাদ যাবেন কে? প্রথম ওয়ানডেতে তামিম, সৌম্য, ইমরুল, মুশফিক, সাকিব, সাব্বির, মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক, মাশরাফি, মুস্তাফিজ ও রুবেল খেলেছেন। এ এগারো ক্রিকেটারের মধ্যে ইমরুল, সাব্বিরকে নিয়েই এখন ভাবার অপশন আছে। সঙ্গে রুবেলকে নিয়েও খানিক ভাবার সুযোগ আছে। এ আলোচনাগুলো পুরোদমে হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে দলের একেকজন একেকজনের সঙ্গে একাদশ নিয়ে আলোচনা করছেন। আবার টিম ম্যানেজমেন্টেও এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে ইমরুলের ওপর দিয়েই কোপ যেতে পারে। প্রথম ম্যাচে ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। লক্ষ্যটা বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফিই জানিয়েছিলেন, ‘আসলে ব্যাটসম্যানদের স্বাধীনতা দিতেই এমনটি করা হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা ভালও করেছে। তবে এটাও ঠিক আমরা আরেকজন বোলার নিয়ে খেলতে পারতাম।’ সঙ্গে যোগ করেছিলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি যদি সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলি তাহলে এখানে ২৬০ বা ২৮০ করে জেতা সম্ভব না। নির্ভরযোগ্য পাঁচটা বোলার থাকার পরও। সেক্ষেত্রে আমরা যদি ৩৩০ করতে পারি অন্য দলের ওপর চাপ তৈরি করে যদি ৩৩০ করতে পারি, তাহলে হয়ত এক্সট্রা বোলার নিয়ে ২০ থেকে ৩০টা রান কনসিডার করতে পারি। আমরা আসলে যে চিন্তা করেছি সেই লাইনেই ছিলাম। কিন্তু তামিমের আউটটার পর মুশফিকও আউট হলো। পরপর দুইটা সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে নতুনরা এসে ওভাবে রানটা করতে পারেনি। ৩২০ অন্তত হওয়ার কথাই ছিল। ঠিকমতো ব্যাটিং যদি হত ৩২০ রানই হত। কিন্তু করতে পারিনি। তাছাড়া আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা দ্রুত উইকেট পাওয়ার পরও হেলস এবং রুটের উইকেট চাচ্ছিলাম, যেভাবেই হোক একটা উইকেট চাচ্ছিলাম। আমার মনে হয় ওরাও খুব ভাল হ্যান্ডেল করেছে। মুস্তাফিজকে ওরা খুব ভাল হ্যাান্ডেল করেছে। উইকেটটা না পাওয়াতে ওদের পার্টনারশিপটা বড় হয়ে গেছে। তারপর আবার মরগানের উইকেটটা যদি ওই সময় পাওয়া যেত তাহলে হয়ত বা চাপ তৈরি হত। তখনও ৭ করে রান লাগে। একটা-দুইটা উইকেট পড়লে ৮ থেকে ৯ রানে চলে যেত। তখন কঠিন হয়ে যেত।’ কিন্তু বাংলাদেশ পারেনি। আর তাই একজন বোলারের অভাব অনুভূত হয়েছে। বিশেষ করে একজন স্পিনারের অভাব অনুভূত হয়েছে। এই অভাব অনুভূতি করেছে বাংলাদেশ দলও। আর তাই বদলও আসছে। বদলটি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে আলোচনা হয়েছে জানা গেছে শুরুতে ওপেনিংয়ে তামিম ও সৌম্যতো সেট করাই আছে। তিন নম্বরে ইমরুলকে সরিয়ে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে আসা হতে পারে। তাতে মাহমুদুল্লাহ বেশি সময় ব্যাটিং করার সুযোগ পাবেন। ছয়-সাত নম্বরে নেমে যা করতে পারেন না মাহমুদুল্লাহ। এরপর যথারীতি মুশফিক, সাকিব, সাব্বির, মোসাদ্দেক, মিরাজ, মাশরাফি, মুস্তাফিজ, রুবেল থাকবেন। এতে করে বাংলাদেশ দলে ব্যাটসম্যানও বেশি থাকল। আবার বোলারও থাকল। তামিম, সৌম্য, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিক, সাকিব, সাব্বির, মোসাদ্দেক ও মিরাজ ব্যাটসম্যান হিসেবে থাকল। হিসেবে সেই আট ব্যাটসম্যানই থাকল। আর বল হাতে মাশরাফি, মুস্তাফিজ, রুবেলের সঙ্গে দুইজন স্পেশালিস্ট স্পিনার সাকিব ও মিরাজ থাকল। আবার এটাও আলোচনা হচ্ছে তিন নম্বরে সাব্বিরকে নামানো যায় কিনা। আর রুবেলকে এক ম্যাচ বাইরে রেখে তাসকিনকে নামানো যায় কিনা। শেষ পর্যন্ত একাদশ হয় উইকেট দেখেই। কন্ডিশন দেখেই। সেটি ওভালের উইকেট দেখার পর, কন্ডিশন বিবেচনা করেই করা হবে। তবে প্রথম ম্যাচ বিবেচনায় একাদশে একজন বোলার না যুক্ত করার আর কোন অপশনই খোলা নেই। একাদশে সেই বদল আসছেও।
×