ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বসতি স্থাপনে ইসরাইল ব্যয় করেছে কয়েক শ’ কোটি ডলার

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৪ জুন ২০১৭

বসতি স্থাপনে ইসরাইল ব্যয় করেছে কয়েক শ’ কোটি ডলার

ধারাবাহিক ইসরাইলী সরকারগুলো অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণে গত ৫০ বছরে বিনিয়োগ করেছে কয়েক শ’ কোটি ডলার। এ উদ্যোগের কারণে ফিলিস্তিনী ভূখ- থেকে কোন ধরনের ইসরাইলী প্রত্যাহার অত্যন্ত কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। খবর এএফপির। ১৯৬৭ সালে জুনে চারদিনের যুদ্ধের পর থেকে ইহুদী বসতি নির্মাণে ইসরাইলী ব্যয়ের ওপর সার্বিক কোন সরকারী পরিসংখ্যান নেই। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতিবছর আংশিক অঙ্ক প্রকাশ করে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১২ বছরের বেশি সময়ে ব্যয়ের পরিমাণ দেখা যায় ৩শ’ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু এখানে ২০০৩ সালের পূর্বের বিনিয়োগ উল্লেখ করা হয়নি। বসবাসকারীদের জন্য নির্মিত বিশেষ সড়কের মতো অবকাঠামো ও তাদের নিরাপত্তায় যে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তাও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের অধিকৃত পূর্বাঞ্চলে ৬ লাখের বেশি বসতি স্থাপনকারী বাস করছে। এ এলাকায় ফিলিস্তিনী বাসিন্দাদের সংখ্যা ২৯ লাখ। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতার উদ্ভব হয় প্রায় সময়। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল অধিকৃত গাজা ভূখ-ে বসতি নির্মাণের ব্যয়ও এ ব্যয়ে ধরা হয়নি। আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ এ বসতিগুলো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনীদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা হচ্ছে ব্যাপকভাবে। কোন ইসরাইলী সরকারই বসতি স্থাপনকারীদের কাছ থেকে সরে যায়নি। ম্যাকরো সেন্টার ফর পলিটিক্যাল ইকোনমিকসের প্রধান রোবি নাথানসোন বলেছেন, ১৯৬৭ এর জুন থেকে মোট ব্যয় হয়েছে ২ হাজার কোটি ডলার। ম্যাকরো সেন্টার বসতি নির্মাণের ওপর বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এ বেসরকারী সংস্থা বলেছে, পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণে মোট ভূপৃষ্ঠ এলাকা ১৮ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। বসতি স্থাপনকারীরা বসতি সম্প্রসারণের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে সরকারী বরাদ্দ থেকে গড়ে তিনবারের বেশি অর্থ সাহায্য পায়। ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্ত সংশ্লিষ্ট মূল ইসরাইলের বাসিন্দাদেরও এতটা ভর্তুকি দেয়া হয় না। অন্য একটি বেসরকারী সংস্থা আদবা সেন্টারের শালামো সুইরক্সির হিসাবে বলা হয়, ইসরাইল ১৯৮৮ থেকে ২০১৫ এর মধ্যে ১ হাজার ৫শ’ ২০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। বসতি স্থাপনে বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হলেও স্বাধীন ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থক কিছুসংখ্যক মানবাধিকার আন্দোলনকারীর যুক্তি বসতিগুলো প্রত্যাহার করা যায় না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাকের এক সাবেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জিলাদশের বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরে ১ লাখ ইহুদীদের পুনর্বাসনে অর্থায়নের জন্য ইসরাইলী অর্থনীতির সামর্থ্য রয়েছে। ফিলিস্তিনীদের সঙ্গে কোন দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য খুব সম্ভবত পশ্চিম তীর ইহুদী বসতি মুক্ত করার বিষয়টি বিবেচ্য। ইসরাইলে রাজনৈতিক ঐকমত্য হচ্ছে, ৩ লাখ ইহুদীর বাসস্থান বসতি ব্লকগুলোর সংযুক্তি।
×