ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কর্মব্যস্ত জেলেপল্লী

প্রকাশিত: ০৭:১০, ৩ জুন ২০১৭

কর্মব্যস্ত জেলেপল্লী

কেউ বুনছে জাল, কেউবা পুরনো জাল সেলাই করে মাছ ধরার উপযোগী করছে। কেউবা পুরনো নৌকা বা ট্রলার মেরামত করছে। আবার কেউবা তৈরি করছে নতুন ট্রলার। ইলিশ মৌসুমকে সামনে রেখে গভীর সাগরে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়ে এমন কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে বরিশালের জেলেপল্লীতে। গত বছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় এ বছরের আগাম প্রস্তুতিতে জেলেপল্লীর বাসিন্দারা এখন মহাব্যস্ত। মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, মুলাদীসহ সর্ববৃহত মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর, কোড়ালিয়া, মৌডুবী এবং চরমোন্তাজের জেলেপল্লীগুলোতে এমন কর্মব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি। মেহেন্দীগঞ্জ জেলেপল্লীতে দেখা গেছে, জেলেরা জাল সেলাই করে মাছ ধরার উপযোগী করছে। জেলেপল্লী ও মৎস্য বন্দরগুলোতে ইলিশ মৌসুমকে ঘিরে চলছে ট্রলার মালিক, জেলে এবং আড়তদারদের মহাব্যস্ততা। ট্রলার মালিক, আড়তদার ও জেলে সমিতি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মৎস্য বন্দরগুলোতে শতাধিক নতুন ট্রলার নির্মিত হয়েছে। হিজলা এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি নিজেই ভাড়াটে ট্রলার নিয়ে মৎস্য ব্যবসা করতেন। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এবার নিজেই মাছ ধরার ট্রলার নির্মাণ করেছেন। চলতি বছর জেলায় কমপক্ষে ৩০টি নতুন ট্রলার নির্মাণ হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু ট্রলার নদীতে নামানো হয়েছে। ইলিশ মৌসুমে এসব ট্রলার মাছ শিকারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। মুলাদী এলাকার লাল খান জানান, তিনি আগেও জালের সাভার (সাগর থেকে জাল উঠানো) কাজ করতেন। এ কাজে বিগত বছরে তাঁর ভালও লাভ হয়েছে। এ বছর আট লাখ ব্যয়ে মাছ ধরার নতুন ট্রলার নির্মাণ করছেন। ইলিশ মৌসুমে গভীর সাগরে জেলেদের ওপর জলদস্যুদের হামলার কথা উল্লেখ করে একাধিক জেলে বলেন, আমাদের নিরাপদ মৎস্য শিকার নিশ্চিত করতে র‌্যাবের সমন্বয়ে যে যৌথ বাহিনী জলদস্যু দমনে কাজ করছে তা অব্যাহত থাকলে এ বছর তেমন আর জলদস্যুর ভয় থাকবে না। সাধারণত বৃষ্টির মৌসুম শুরু হলেই ইলিশ জালে ধরা পড়ে। তবে এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য অনুসারে জুনের শেষ দিকে জেলেরা ইলিশ ধরতে সাগরে নামবে। -খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল থেকে
×