ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চবির আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৩ জুন ২০১৭

চবির আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ

চবি সংবাদদাতা ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ আগামী ৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। ভৌত অবকাঠামো সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে এ নির্দেশ বলে ১ জুন বৃহস্পতিবার এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। চবি প্রক্টর ও কেন্দ্রীয় আসন বরাদ্দ কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই জরুরী বিজ্ঞপ্তি (৪) তে বলা হয়েছে, ‘ভৌত অবকাঠামো সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা জন্য আবাসিক হলসমূহ আগমী ৯ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। হলে অবস্থানকারী সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। উক্ত সময়সীমা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হলগুলোতে তল্লাশি পরিচালনা করে কক্ষসমূহ সিলগালা করে দেবে।’ আগামী ৫ জুলাই সকাল ৮টায় আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়া হবে। ওইদিন কেবল হলে আসন বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলের পাওনা পরিশোধের রশিদ দেখিয়ে হল প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে। কোন কক্ষে হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোন ছাত্রছাত্রী প্রবেশ করলে কোন প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে বহিষ্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃষ্টি হলেই দোলাইরপাড় এলাকার রাস্তায় হাঁটুপানি দোলাইরপাড়ের আশপাশের খাল ভরাট থাকার কারণে প্রতিনিয়তই এখানে পানি জমে থাকে। গত দুই দিন আগে রাতের বৃষ্টিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকা হাঁটুপানিতে ডুবে গেছে। এখনও কমেনি পানি। পানি থাকায় এখানে লুকিয়ে থাকা গর্ত দেখা যায় না। ফলে মাঝেমধ্যেই গাড়ি উল্টে পড়ে কখনও কখনও মানুষও পড়ে যায়। এই এলাকায় বসবাসরত মানুষদের চলাচলে ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে। ভুক্তভোগী সোহাগ শেখ জানান ‘এখানে প্রায়ই জলাবদ্ধতা থাকে। আশপাশের খাল ভরে থাকায় পানি সরতে পারে না। ফলে রাস্তায় পানি জমে থাকে। আমাদের চলাচলে খুবই অসুবিধা হয়। স্কুলের বাচ্চারা যেতে আসতে পারে না। রিক্সাওয়ালারা ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দাবি করে, বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। সবসময় রিক্সা বা সিএনজি পাওয়া যায় না।’ ভুক্তভোগী আরেকজন নবম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া আক্তার বর্ষা বলেন, স্কুলে আসা-যাওয়া করতে খুবই অসুবিধা হয়। কখনও কখনও রাস্তায় জ্যাম লেগে থাকে। নোংরা পানির খুবই বাজে গন্ধ। জমে থাকা পানিতে মশার বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রোগের প্রকোপ বাড়ছে। -স্টাফ রিপোর্টার
×