ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিদান-রামোসের ইতিহাসের হাতছানি

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৩ জুন ২০১৭

জিদান-রামোসের ইতিহাসের হাতছানি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনন্য অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান ও দলটির অধিনায়ক সার্জিও রামোস। আজ রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল জিতলেই গৌরবময় কীর্তির ভাগিদার হবেন তারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সিলোনাকে টপকে পাঁচ বছর পর লা লিগা শিরোপা জিতেছে রিয়াল। এবার রিয়ালের সামনে ডাবল জয়ের হাতছানি। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমের পর রিয়াল মাদ্রিদ কখনও একই মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিততে পারেনি। এবার সেই রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছে জিনেদিন জিদানের দল। কেবল সেটাই নয়, বিরল রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন রামোস ও জিদান। আজ ফাইনালে গোল করলে ইউরোপ সেরার তিন ফাইনালে গোল করার রেকর্ড গড়বেন রামোস। আর জিদান প্রথম কোচ হিসেবে টানা দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ হবেন। এর আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের এক ফাইনালে সর্বোচ্চ দুটি গোল করেছেন এসি মিলানের ড্যানিয়েল মাস্যারো, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কার্ল হেইঞ্জ রিডল, ইন্টার মিলানের হার্নান ক্রেসপো, এসি মিলানের ফিলিপ্পো ইনজাঘি ও দিয়াগো মিলিতো। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লীগের দুটি আসরে গোল করার রেকর্ড আছে মেসি, স্যামুয়েল ইতো ও রাউল গঞ্জালেসের। ২০০৯ ও ২০১১ সালে ইউরোপ সেরার মঞ্চে গোল করেন মেসি। এর আগে ২০০৬, ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে গোল করেন স্যামুয়েল ইতো। এছাড়া ২০০০, ২০০২ সালে রিয়ালের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে গোল করে রাউল গঞ্জালেস। তবে কার্ডিফে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে রোনাল্ডো ও রামোসের সামনে। সি আর সেভেন ২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথমবার ও ২০১৪ সালে রিয়ালের জার্সিতে দ্বিতীয়বার ফাইনালে গোল করেন। আর সার্জিও রামোস ২০১৪ ও ২০১৬ সালের দুটি ফাইনালের লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে গোল করেন। এবার জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে গোল করলে প্রথম ফুটবলার হিসেবে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করবেন এ দু’জন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে জিদান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দারুণ ছন্দে ছুটছে রিয়াল। ফরাসী এই কোচের অধীনে এ পর্যন্ত চারটি শিরোপা ঘরে তুলেছে গ্যালাক্টিকোরা। দলকে একের পর এক সাফল্য এনে দেয়া জিদানের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০১৮ সালে। জিদান এক সাক্ষাতকারে বলেন, রিয়াল মাদ্রিদের ডিএনএ আমার মধ্যে আছে। এটা আমার বাড়ি। এখানকার সবাই আমাকে ভালবাসে। আমি সবসময় এই ক্লাবের আদর্শ রক্ষায় কাজ করেছি। প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্বের ছয় মাসের মধ্যেই রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জেতান জিদান। খেলোয়াড়ী জীবনে জুভেন্টাসের হয়ে ১৯৯৮ সালে আমস্টার্ডামে রিয়ালের কাছেই ফাইনালে হেরেছিলেন জিদান। পরাজয়ের সেই কষ্টের স্মৃতির পুনরাবৃত্তি চান না তিনি। এ প্রসঙ্গে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা বলেন, ফাইনালে হারাটা ভয়াবহ এক অনুভূতি। কিন্তু এটা ফুটবলেরই অংশ। আমি এই ক্লাবে এসে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিততেই চেয়েছি। আমি সাদা জার্সিতে এটা পেয়েছি। আমাদের আরেকটি ফাইনাল। ম্যাচটি জিততে আমাদের সামর্থ্যরে সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করব।
×