নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২ জুন ॥ সরকারীভাবে গম সংগ্রহ অভিযানের ‘নামে কোটি টাকা লোপাটের অভিয়োগ উঠেছে। কৃষকরা খাদ্য গুদামে গম দেয়া তো দূরের কথা তাদের কান পর্যন্ত পৌঁছেনি সংগ্রহের কথা। অভিযোগ রয়েছে, সরকারী খাদ্য গুদামে কখনই গম সরবরাহ করতে পারে না কৃষকরা। এ বিষয়ে জেলা খাদ্যবিভাগ সঠিক তথ্য দিতে মুখ খুলছে না। জেলা খাদ্য বিভাগ জানায়, গোটা দেশে এক লাখ মে.টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সর্বোচ্চ গম উৎপাদনকারী ঠাকুরগাঁও জেলা বরাদ্দ পায় ১৭ হাজার ৯শ’ মে.টন। বর্তমান গমের বাজার দর ১৮ টাকা কেজি হলে প্রতি কেজিতে কৃষকদের জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ১০ টাকা। এতে মোট ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ কোটি টাকা।
এই টাকা কৃষকের হাতে পৌঁছাতে ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করলেও এসব নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। নিয়মের ফাঁক গলে এসব ভর্তুকির টাকা গচ্চায় যায়। অসময়ে গম সংগ্রহ অভিযানে ক্ষোভ প্রকাশ করে কৃষকরা বলেন, এখন শতকরা ৯০ ভাগ কৃষকের ঘর গম শূন্য। ঠাকুরগাঁওয়ের সদর, পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলায় কৃষকের নামের গম বরাদ্দের স্লিপ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা কৃষকের কৃষি কার্ড সংগ্রহ করে, ব্যাংক এ্যাকাউন্ড খোলা, চেক সংগ্রহ করেছে।
জানা যায়, গম ও ধান চাষী কৃষকরা কখনও সরকারী খাদ্য গুদামে গম-ধান বিক্রি করতে পারিনি। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশ্রাফুজ্জামান বলেন, চলতি গম সংগ্রহ অভিযানে ঠাকুরগাঁও সদর, হরিপুর, রানীশংকৈল, পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গীসহ সকল উপজেলা খাদ্য গুদাম মাত্র ৪ হাজার মে.টন গম সংগ্রহ করেছে। ১৮ এপ্রিল শুরু এ সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে আগামী ৩০ জুন, প্রতিকেজি গম ২৮ টাকা কেজি দরে সংগ্রহ করছে সরকার।
দেড় কোটি টাকা আত্মসাত ॥ হোতা সাতক্ষীরায় আটক
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাড়ে সাত শ’ গ্রাহকের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কালীগঞ্জ থেকে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ওই কর্মকর্তার নাম নাজমুল হাসান মিন্টু। শুক্রবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই গ্রামের ডাঃ শামসুর রহমানের ছেলে ও হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশন হিপ নামের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার বিভাগীয় পরিচালক। ভুক্তভোগী ওমর শরিফসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশন হিপের বিভাগীয় পরিচালক নাজমুল হাসান মিন্টু দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে প্রতারণা শুরু করেন। তিনি তাদের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের ঘরবাড়ি দেয়ার নামে জনপ্রতি ১০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি জেলার সাতটি উপজেলা থেকে দেড় হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এ পর্যন্ত সর্বনিম্ন দেড় কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই কর্মকর্তা পালিয়ে তার গ্রামের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুরের নিজ বাড়ি অবস্থান করেন।