ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়ার সিদ্ধান্ত

পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়া-ভারত চুক্তি

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৩ জুন ২০১৭

পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়া-ভারত চুক্তি

ভারতের তামিল নাড়ুতে দীর্ঘ-প্রতিক্ষিত দুটি পরমাণু বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনে দিল্লী-মস্কোর মধ্যে চুক্তি বৃহস্পতিবার সই হয়েছে। মোদির সফরে বিশ্বের এই বৃহৎ শক্তি দুটির মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে নতুন গতিপথ রচনা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এতে ‘ইন্দ্রা-২০১৭’ নামে চলতি বছরে দুই দেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কৌশলগত সম্পর্ক বাড়াতে প্রথম বারের মতো ভারত একসঙ্গে তিন বাহিনীর মহড়ার আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। দু’দেশ মিলে যুদ্ধ জাহাজ ও ক্যামোভ-২২৬ সামরিক হেলিকপ্টার উৎপাদন করবে। খবর ফাস্ট পোস্ট অনলাইন ও টাইমস অফ ইন্ডিয়ার। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর তারা এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ দমন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মোদি বলেন, পারস্পরিক ভালবাসা, মর্যাদা ও দৃঢ় আস্থার ওপর ভিত্তি করে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। সংস্কৃতি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্কে কোন খামতি নেই। তিনি বলেন, সকল পর্যায়ে আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য একটি ‘বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’ও নেয়া হয়েছে। মোদি বলেন, ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের সত্তরতম বছর উদযাপন করা হয়েছে। সম্পর্ক শুরুর পর কয়েক যুগে দুই দেশের সম্পর্কে ঘাটতে পড়েনি। আলোচনাকে বাস্তবসম্মত ও কার্যকর আখ্যা দিয়ে ভøাদিমির পুতিন বলেন, কৌশলগত ও অগ্রাধিকারভিত্তিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের অংশীদারিত্ব বাড়ছে। দুই দেশের এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ভারত-রাশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক আস্থা নির্ভর একক কৌশলগত অংশীদারিত্ব অটুট রয়েছে। রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, অর্থনীতি, সামরিক, প্রযুক্তিখাত, জ্বালানি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, মানবাধিকার ও পররাষ্ট্রনীতিসহ সকল পর্যায়ে সহয়োগিতাপূর্ণ নিরবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক বহাল রয়েছে। এ সম্পর্ক দুই দেশের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।
×