ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি কর প্রত্যাহার দাবি

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৩ জুন ২০১৭

ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি কর প্রত্যাহার  দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থিক খাতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ব্যাংকে রাখা আমানতের ওপর থেকে বর্ধিত আবগারি কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে কয়েকটি সংগঠন। একই সঙ্গে নতুন ভ্যাট আইনে উপকরণ রেয়াত গ্রহণ করা না গেলে সে সকল খাতে ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ মূল্য সংযোজন হিসাব করে ১৫ শতাংশ হিসেবে ৪ শতাংশ ভ্যাট ধার্যের দাবি করেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক এ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। সংগঠন দুটির পক্ষে প্রস্তাবিত বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়ে কয়েকটি প্রস্তাবও জানানো হয়েছে। আর প্লাস্টিক ক্রোকারিজের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিপিজিএমইএ। বাজেট পরবর্তী প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এসব দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতাকিকারক এ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূসক আইন বলবৎ রাখায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বর্তমান বাজেটের বিশেষ দিক শিল্প দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের বিশেষ নজর দেয়ায় বিনিয়োগের পরিমাণ ৫-৬ শতাংশে উন্নীত করায় বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে। ফলে বেসরকারী খাতের বিনিয়োগে সরকার আরও সচেষ্ট হবেন বলে আশা করছি। তবে ভোক্তা ও ব্যবসাবান্ধব মূসক ব্যবস্থা বলবৎ করার জন্য দেশের ৮৫ শতাংশ ক্ষুদ্র মাঝারি পণ্য ও সেবা খাতে নিয়োজিত ব্যবসায়ীদের স্বার্থ ও সামর্থ্য অনুযায়ী মূসক ব্যবস্থায় আমাদের কিছু প্রস্তাব রয়েছে। তিনি বলেন, টার্নওভারের উর্ধসীমা ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা থেকে ৫ কোটি নির্ধারণ করে করের হার প্রস্তাবিত ৪ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার অনুরোধ করছি। উপকরণ রেয়াত গ্রহণ করা না গেলে সে সকল খাতে ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ মূল্য সংযোজন হিসাব করে ১৫ শতাংশ হিসেবে ৪ শতাংশ ভ্যাট ধার্য করার অনুরোধ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে রক্ষিত ১ লাখ টাকার উর্ধে জমার ওপরে অবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাধারণ সঞ্চয়, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনাসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের অর্থ লেনদেন কার্যক্রম ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করার উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক খাতে সচ্ছলতার জন্য এ আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সংগঠনটির পক্ষে বাজেটের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে ৪টি প্রস্তাব জানানো হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হচ্ছেÑ টার্নওভারের উর্ধসীমা ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা থেকে ৫ কোটি নির্ধারণ করে করের হার প্রস্তাবিত ৪ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা। উপকরণ রেয়াত গ্রহণ করা না গেলে সে সকল খাতে ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ মূল্য সংযোজন হিসাব করে ১৫ শতাংশ হিসেবে ৪ শতাংশ ভ্যাট ধার্য, পাইকারি ও খুচরা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বশেষ আয়কর নির্ধারণকালে অনুমোদিত টার্নওভার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ মূসক ধার্য ও ২০১৬-১৭ বাজেটে বিদ্যমান সকল অব্যাহতি খাতকে প্রদত্ত অব্যাহতি অব্যাহত রাখার দাবি রয়েছে। শুক্রবার বিসিআই বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের পক্ষে এসব কথা বলা হয়েছে। বিসিআই সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ভ্যাট আইনে বিপুল সংখ্যক পণ্যকে মূসকের আওতামুক্ত রাখায় সরকারকে আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তবে মূসক ব্যবস্থায় আমাদের ৪টি প্রস্তাব রয়েছে। পরে ওই প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন তিনি।
×