ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহকর্মী পাচার মামলা

পুলিশের পর এবার আদালত থেকেও ছাড়া পেল হারুন চৌধুরী!

প্রকাশিত: ০৮:০০, ২ জুন ২০১৭

পুলিশের পর এবার আদালত থেকেও ছাড়া পেল হারুন চৌধুরী!

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ১৪ বছরের গৃহকর্মী নিখোঁজ হওয়ার মামলায় তাকে প্রথমবার গ্রেফতার করার পর পুলিশ মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। এবার আদালতে আত্মসমর্পণ করার পরও তা গ্রহণ করা হয়নি। এই আসামি হলেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হারুন চৌধুরী। তার বাসায় কাজে দেয়ার পর মাস সাতেক আগে কিশোরী ওই গৃহকর্মী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। মেয়েটির সন্ধান আজও মেলেনি। এই ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে দায়ের মামলায় বৃহস্পতিবার হারুন চৌধুরী, তার স্ত্রী, মেয়ে এবং মেয়ে জামাই ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ বেলা ১১টার দিকে ওই আত্মসমর্পণের ওপর শুনানি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন জানান। দুপুরে আদালতের নথিতে দেখা যায়, হারুনের স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ে জামাইকে জামিন দেয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, জামিনের আবেদনপত্র থেকেও হারুনের নাম কেটে দেয়া হয়েছে। হারুন চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর অথবা না মঞ্জুরের বিষয়েও কোন আদেশ নেই। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে আম্বিয়া খাতুন নামের এক নারীর মাধ্যমে হারুন চৌধুরীর বাসায় কাজে দেন কিশোরীর বাবা। পরে ২২ অক্টোবর মেয়েকে ঈদে বাড়ি পাঠানোর কথা বললে হারুনের মেয়ের স্বামী লিটন তাকে বলে দেন, কিশোরীটির ঈদে বাড়ি যাওয়া হবে না। কিশোরীর বাবা ঢাকায় এসে মেয়ের খবর জানতে চান। তখন তাকে আটকে রেখে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। মেয়েটির বাবা হাজারীবাগ থানায় গেলে পুলিশও মামলা নেয়নি। এরপর ২৭ অক্টোবর আদালতে মানবপাচার আইনের ৭/৮ ধারায় মেয়েটির বাবা নালিশি মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে হারুন চৌধুরী, তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন, মেয়ে ও মেয়ে জামাই লিটনের বিরুদ্ধে ৮ নবেম্বর মামলা নেয় হাজারীবাগ থানা। মামলা নং-১০(১১)১৬। তবে পুলিশ গত ৭ মাসের তদন্তের পরও ভিকটিমের কোন প্রকার সন্ধান করতে পারেননি।
×