ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

একজন অদম্য নারীর এগিয়ে চলা

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ২ জুন ২০১৭

একজন অদম্য নারীর এগিয়ে চলা

কিশোর বয়স থেকেই নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন বলেই হয়ত নিজের অজান্তেই ‘কিছু একটা করার’ তাগিদ অনুভব করতেন সব সময়। কিন্তু অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ভয়ও ছিল, পারবেন তো নিজের দেখা স্বপ্ন বাস্তব করতে! না তিনি পেরেছেন। স্বামী জাহাঙ্গীর আলম শুরু থেকেই ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী; তিনিও তাই বুঝতেন স্বপ্ন সত্যি করার মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভাল লাগার অনুভূতি। তাই সহধর্মিণীকে প্রেরণাও যুগিয়েছেন তিনি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে গড়ে তুলেছেন জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন। তিনি হেলেনা জাহাঙ্গীর। বাংলাদেশের অদম্য নারীরা যে এগিয়ে যাচ্ছেন দৃঢ় প্রত্যয়ে তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ তিনি। ১৯৯৪ সালে গার্মেন্টস, নিটিংয়ের কাজ দিয়ে ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু করে তিনি আজ অন্যতম সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন শুধু নিজের শ্রম, মেধা আর কাজের প্রতি ভালবাসার কারণে। কিশোর বয়সে যখন আমরা স্বপ্ন দেখতাম কীভাবে নিজেদের জীবন সাজানো যায়, ঠিক সেই বয়সে হেলেনা জাহাঙ্গীর স্বপ্ন দেখতেন কী করে আমাদের পুরো সমাজটা সুন্দর করে সাজানো যায়। তাই তো ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন সমাজ নিয়ে। পরবর্তী সময়ে দরিদ্র মানুষদের শীর্ণ মুখে এক টুকরো হাসি ফোটানোকেই জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে নিয়েছেন তিনি। আর এই উদ্দেশ্য সুষ্ঠুভাবে সফল করার জন্য সমমনা কয়েক উদ্যমী মানুষকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন’। গরিব-দুঃখী মানুষদের মাঝে আশার আলোকবর্তিকা নিয়ে হাজির হয়েছে এই ফাউন্ডেশন। অষ্টম শ্রেণীতে থাকা অবস্থাতেই তাকে বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। হাল ছাড়েন না হেলেনা জাহাঙ্গীর। বিয়ের পর নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজে কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন। সংসারের সব কাজ করার পাশাপাশি ছোট পরিসরে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসার জগতে পা রাখেন। একে একে গড়ে তোলেন জয় অটো গার্মেন্টস, জেসি এ্যাম্ব্রয়ডরি, হোমাইরা স্টিকার, নিট কনসার্ন প্রিন্টিং, নিট কনসার্ন প্রিন্টিং ইউনিট লি.। হেলেনা জাহাঙ্গীর আজ একজন সফল ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তিনি সমাজসেবক ও নারী উদ্যোক্তাও। তার এই কার্যক্রমগুলো তাকে ‘সিস্টার হেলেন’ নামে পরিচিত করে।
×