ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বল ক্যামেরায় ৩৬০ ডিগ্রী ছবি

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ২ জুন ২০১৭

বল ক্যামেরায় ৩৬০ ডিগ্রী ছবি

মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়ও বিস্তৃত প্যানোরামা ছবি তোলা যায়। তবে একেবারে ৩৬০ ডিগ্রী ছবি তোলা সহজ নয়। একটি ছোট্ট বল যদি এক নিমেষেই সে কাজ করে ফেলতে পারে! জার্মানির রাজধানী বার্লিনের যে সব চত্বরের সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা হয়, আলেক্সান্ডারপ্লাৎস তার মধ্যে অন্যতম। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ এমন ছবি তোলেনি, যা ছোট্ট এক ক্যামেরা দিয়ে সম্ভব। সবুজ বলের মধ্যেই ৩৬টি মোবাইল ক্যামেরা লুকিয়ে রয়েছে। শূন্যে ছুড়ে দিলেই সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে ৩৬০ ডিগ্রী ছবি তুলে ফেলে। দুই ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার এই বল ক্যামেরার উদ্ভাবক। বার্লিনের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে তাঁরা প্রতিদিন এই বিস্ময়কর ক্যামেরা নিয়ে নাড়াচাড়া করেন। বলের মধ্যে তাঁরা এমন মাইক্রোচিপ বসিয়েছেন, যার মাধ্যমে সঠিক সময়ে ছবি তোলা হয়। তাঁদেরই একজন ইয়োনাস ফাইল। তিনি বললেন, ‘এই বলের মধ্যে এক এ্যাক্সিলারেটর সেন্সর রয়েছে। বল শূন্যে ছোড়ার পর সেটি পরিমাপ শুরু করে। সর্বোচ্চ উচ্চতা ছুঁলেই সেন্সর তা বুঝে নিয়ে ক্যামেরার শাটার চালু করে দেয়। তবে ৩৬টি মোবাইল ফোন ক্যামেরার একইসঙ্গে ছবি তোলা অত্যন্ত জরুরী।’ এখনও দুই ইঞ্জিনিয়ারকে প্রতিবার ছবি তোলার পর সেই ছবি উদ্ধার করতে হয়। তবে শীঘ্রই সব তথ্য বলের মধ্যেই ধারণ করা যাবে। দুই উদ্ভাবকের অন্যতম বড় রহস্য হলো সেই সফটওয়্যার, যা দিয়ে ৩৬টি ছবির সমন্বয়ে ৩৬০ ডিগ্রী ছবি তৈরি করা হয়। সেই ছবি একেবারে বাস্তব অভিজ্ঞতার মতো। মনে হবে নিজেই যেন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে আছি। এমন এক প্যানোরামা ক্যামেরার আইডিয়া যে ছুটি কাটানোর সময়ে মাথায় এসেছিল, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ইয়োনাস ফাইল বলেন, ‘টোঙ্গা বেড়াতে গিয়ে আইডিয়া মাথায় এসেছিল। উচ্চশিক্ষার সময় নিউজিল্যান্ড থেকে সেখানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম। প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য ক্যামেরায় ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা ঠিক মনের মতো হচ্ছিল না। টোঙ্গার পাহাড়ে উঠে মনে হয়েছিল, এমন ডিভাইস চাই যা শূন্যে ছুড়লে একেবারই সব ছবি তোলা যাবে। মাত্র এক বছরের মধ্যেই দুজন মিলে বল ক্যামেরা তৈরি করেছেন। এমন অভিনব আইডিয়ার জন্য তাঁরা বৃত্তিও পেয়েছেন। তবে তাঁরা এখনও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। ক্যামেরাটিকে আরও ছোট করতে হবে, যাতে তা সঙ্গে নিয়ে ঘোরা যায়। বার্লিনের মধ্য দিয়ে নৌকাবিহারের সময় দুই উদ্ভাবক মিউজিয়াম ও সরকারী ভবনগুলোর এমন ছবি তুলেছেন, যেমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি। তাঁদের প্যানোরামা ক্যামেরার জন্য দারুণ মোটিফ বটে। তবে ক্যামেরা পানিতে পড়লে কিন্তু চলবে না! ছবি ভালই তোলা যাচ্ছে দুই ইঞ্জিনিয়ার এবার দ্রুত বড় আকারে উৎপাদনের বিষয়ে আশাবাদী শুধু প্রয়োজন বিনিয়োগকারী তবে এমন ছবি দেখলে টাকার অভাব হবে না বলেই তাঁরা দুজন মনে করেন। সূত্র : ডয়েচ ভেলে
×