ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টুটুল মাহফুজ

স্টাইলে সানগ্লাস

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ২ জুন ২০১৭

স্টাইলে সানগ্লাস

প্রকৃতিতে চলছে গ্রীষ্মের প্রভাব। বাইরে ধুলাবালির প্রকট প্রচণ্ড। রোদের ঝক্কিতো সঙ্গে আছেই। রোদের তাপ থেকে ত্বক রক্ষা করার জন্য আজকাল ছেলেরাও মেয়েদের মতো সানস্ক্রিন ব্যবহার করে কিন্তু এতে কি চোখের সুরক্ষা হয়? ধুলাবালি আর রোদে চোখের বারোটা বেজে যায়। অনেকে টের না পেলেও অনেকের আবার চোখ জ্বলে এবং লাল হয়ে যায়। ধুলাবালি আর খোলা বাতাসে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের শিকার হয় চোখ। এসব থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে সানগ্লাস। আবার তারুণ্যের ফ্যাশনেও সানগ্লাস একটি অন্যতম প্রিয় এবং অপরিহার্য অনুষঙ্গ। সানগ্লাস পরার জন্য দিন বা তিথি লাগে না। সব ঋতুতেই ফ্যাশনের এই অনুষঙ্গটির ব্যবহার মেলে। আসলে সানগ্লাস শুধুই কি ফ্যাশন! না, আসলে এর সঙ্গে প্রয়োজনটাও জুড়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। কেননা, চৈত্রের এই ক্ষরতাপে প্রকৃতিতে এখন ছড়িয়ে আছে ধুলোবালি। এ সময় বাইরে ধুলোবালির প্রকট অনেক বেশি। সঙ্গে রোদের তাপ তো আছেই। সানগ্লাস কেনার আগে অনেকেই জানেন না আসলে কেমন সানগ্লাস কেনা উচিত। সানগ্লাস কেনার আগে এমন সানগ্লাস কিনুন যা অন্তত ৯৯% থেকে ১০০% সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি থেকে আপনার চোখকে বাঁচাতে পারে। উইভি ৪০০ এর লেবেলযুক্ত সানগ্লাস চোখকে সুরক্ষিত রাখে, সুতরাং কেনার সময় এটা দেখে নেওয়া খুবই জরুরী। পোলারাইজড লেন্সযুক্ত সানগ্লাস সূর্যের কড়া আলো থেকে তো বাঁচায়ই, তা ছাড়া এর সাহায্যে চারপাশে পরিষ্কার দেখাও যায়। আপনি কতক্ষণ বাইরে কাটান, সেই অনুযায়ী বেছে নিন আপনার সানগ্লাস। পোলারাইজড লেন্স ওয়াটার, বরফ আর কাচ থেকে প্রতিফলিত আলোক রশ্মি কমাতে সাহায্য করে। এসব সানগ্লাস বেড়াতে গেলে বা ড্রাইভিংয়ের সময় খুবই কার্যকরী। আবার যারা বাইরে বেশির ভাগ সময় কাটান তাদের জন্য র‌্যাপ এ্যারাউন্ড সানগ্লাস চোখকে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত রাখে। দেখতে হবে যে সানগ্লাসের টেম্পল আর্ম যথেষ্ট বড় কিনা, না হলে পাশ দিয়ে আলো ঢুকতে পারে। তবে ডার্ক শেডের সানগ্লাস মানেই যে তা লাইট শেডের সানগ্লাসের চেয়ে চোখকে বেশি প্রোটেকশন দেবে, তার কিন্তু কোন মানে নেই। বড় ফ্রেমের সানগ্লাস পরা নিঃসন্দেহে ফ্যাশনে ইন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে মুখের অনেকটা অংশ যেন ঢেকে থাকে। আবার খেয়াল রাখতে হবে, মুখের তুলনায় খুব বেশি বড় ফ্রেমের সানগ্লাস ব্যবহারে মাথা ব্যথা হতে পারে। চাপ পড়তে পারে কানের পাশে, নাকের ওপরও। সুতরাং সানগ্লাস হওয়া চাই সামঞ্জস্যপূর্ণ। খুব বেশি দাম দিয়ে ডিজাইনের সানগ্লাস কেনা মানেই চোখের পক্ষে তা দারুণ ভাল, এ ধারণাও ভুল। নির্ভরযোগ্য দোকান থেকে আপনার বাজেট অনুযায়ী কিনে ফেলুন পছন্দমতো সানগ্লাস। যে কোন চশমা কিংবা সানগ্লাস পরার পর চারদিক দেখে নিশ্চিত হবেন যেন কোন ইমেজ-ডিসটিশন না হয়। গ্লাস বা চশমা অনলাইন না কেনাই ভাল, আগে ট্রাই করে তবেই কিনবেন। চশমার ফ্রেম মেটাল বা প্লাস্টিকের হতে পারে, কিন্তু যদি আপনার স্কিনে ইরিটেশন বা এ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকে, তা হলে স্টেইনলেস স্টিলের ফ্রেম নিন। এমন চশমাও আজকাল পাওয়া যায়, যার ফ্রেমও বদলে বদলে পরা যায়। চশমা তো পরা হবেই সঙ্গে স্টাইলও করা হলো। সানগ্লাসের ফ্যাশনে এখন গাঢ় রং খুব ট্রেন্ডি। নীল, সবুজ, লাল, কমলার মতো রঙের প্রাধান্য দেখা যায়। চাইলে কয়েকটা শেডের সানগ্লাসও মিলবে। আয়োজন কিংবা পার্টিভেদে সানগ্লাস কিনে নিতে পারেন। ক্লাব মাস্টার ফ্রেম, ফরমাল কিংবা ঘরোয়া দুই ধরনের অনুষ্ঠানেই মানিয়ে যায়। আর এভিয়েটর ফ্রেম ফরমাল পোশাকে বেশি মানানসই। লেটেস্ট ট্রেন্ড অনুযায়ী এখন ফ্যাশনে ইন ওভারসাইজড সানগ্লাস, রেট্রো স্টাইল আর সেমি রিমলেস সানগ্লাস। তা ছাড়া, উজ্জ্বল রঙের শেড্স পরলেও স্টাইলিশ দেখাবে। এক্সপেরিমেন্ট করলেও সানগ্লাস বা চশমা পরার পর সেকেন্ড ওপিনিয়ন নিতে ভুলবেন না। মুখের গড়ন ও চুলের স্টাইলের সঙ্গে মিল রেখে বেছে নিন পছন্দের সানগ্লাস। সঙ্গে দরকার মতো পাওয়ারটিও যুক্ত করে নিন। মডেল : রাতুল ও আয়শা ছবি : নাঈম ইসলাম
×