ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে ইইউ ও চীন ঐকমত্য

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২ জুন ২০১৭

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে ইইউ ও চীন ঐকমত্য

চীনা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিতে যাচ্ছেন। তারা বলছে, অতীতের যে কোন চুক্তির চেয়ে এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিবিসিতে প্রকাশিত এক ডকুমেন্টের খসড়ায় এই চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঘটনাটি আকস্মিক প্রতিবন্ধকতা হয়ে দেখা দেবে যদি ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। যেহেতু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে। খবর বিবিসির। শুক্রবার ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর ইইউ ও চীনের যৌথ বিবৃতিটি প্রকাশ করা হবে। এক বছরেরও অধিক সময় ধরে চীনা ও ইইউ কর্মকর্তারা জলবায়ু পরিবর্তন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে পৌঁছাতে কাজ করছে। ডকুমেন্টটিতে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় জড়িত। একই সঙ্গে সেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি কিভাবে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনতে পারে তা দেখানো হয়েছে। ওই খসড়ায় আরও বলা হচ্ছে, ইইউ ও চীন প্যারিস চুক্তিকে একটি ঐতিহাসিক অর্জন বলে বিবেচনা করছে। যেটা অপরিবর্তনীয় বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নিম্ন পর্যায়ে রাখতে এবং জলবায়ুর স্বাভাবিক উন্নয়নে সহায়ক। প্যারিস চুক্তি একটি ভিত্তি যেখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং জোটবদ্ধতা বর্তমান সময়ের যে কোন গুরুতর বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে সফল ও কার্যকর হতে পারে। প্যারিস চুক্তির উদ্দেশ্যকে সক্রিয় বাস্তবায়নে ইইউ ও চীন তাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। উভয় পক্ষই কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে তাদের জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও নতুন নতুন নীতি ও পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। দুই পক্ষই একমত হয়েছে, ২০২০ নাগাদ তারা কার্বন নিঃসরণ কামাতে তাদের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের রূপরেখা প্রকাশ করবে। এই চুক্তিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কার্বন বাজারের যোগসূত্র ও উন্নয়ন।
×