ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংক হিসাবে ভ্যাট বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২ জুন ২০১৭

ব্যাংক হিসাবে ভ্যাট বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংকে আমানতের সুদহার ধারাবাহিকভাবে কমছে। মেয়াদী আমানত রেখে এখন ৫ শতাংশের মতো সুদ মিলছে। এর ওপর রয়েছে সুদের ওপর কর। রয়েছে নানা সার্ভিস চার্জ। আমানতকারীদের এমন দুঃসময়ের মধ্যেই ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক হিসাবে ভ্যাটের আকার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন সংসদে এ সরকারের নবম বাজেট-প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, রাজস্ব বাড়াতে এবার ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ভ্যাটের আকার বাড়ানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ‘ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন এ্যাট অল লেভেস’ নীতি ও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতির ফলে ব্যাংকিং খাতে লেনদেনের আকার ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিবেচনায় রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্য এক্সাইজ এ্যান্ড সল্ট এ্যাক্ট, ১৯৯৪-এর সংশোধনীর প্রস্তাব করছি। সংশোধনী এনে মন্ত্রী বলেন, বছরের যে কোন সময় এ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডেবিট কিংবা ক্রেডিট হয় এমন এ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তা পূর্বের ন্যায় আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয় না। এখন এক লাখ টাকার এ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। জানা গেছে, বর্তমানে গ্রাহকের আমানত থেকে যে মুনাফা আসে তার ওপর ১০ শতাংশ কর নেয় সরকার। আর টিআইএন না থাকলে কাটা হয় ১৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি আমানত ও ঋণ উভয় হিসাব থেকে বছরে একবার আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি কাটা হয়। ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্থিতির ওপর কোন আবগারি শুল্ক নেই। ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ওপর বছরে কর দিতে হয় ১৫০ টাকা। এক লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির জন্য দিতে হয় ৫০০ টাকা। ১০ লাখ থেকে এক কোটি পর্যন্ত টাকা থাকলে আবগারি শুল্ক এক হাজার ৫০০ টাকা। এরপর এক কোটি থেকে পাঁচ কোটি পর্যন্ত সাত হাজার ৫০০ টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে ১৫ হাজার টাকা কর দিতে হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ‘এক লাখ টাকার উর্ধে হতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা, ১০ লাখ টাকার উর্ধে এক কোটি টাকা পর্যন্ত দেড় হাজার টাকার পরিবর্তে আড়াই হাজার টাকা, এক কোটি টাকার উর্ধে হতে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার টাকার পরিবর্তে ১২ হাজার টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার উর্ধে বিদ্যমান ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
×