ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গরিব মারার সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট ॥ সিপিবি

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২ জুন ২০১৭

গরিব মারার সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট ॥ সিপিবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বাজেট প্রস্তাবকে বাংলাদেশের ইতিহাসের গরিব মারার সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট ও সাম্রাজ্যবাদ ও লুটেরা ধনিক শ্রেণীর স্বার্থরক্ষার একটি গণবিরোধী দলিল হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সিপিবি নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই বাজেটে সমাজতন্ত্রসহ রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতির কোন প্রতিফলন নেই। শুধু তাই নয়, এই বাজেট মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী আদর্শে প্রণীত হয়েছে। বাজেট প্রস্তাবের ভিত্তি হলো পুঁজিবাদের নয়া উদারবাদী প্রতিক্রিয়াশীল দর্শন। গত বছরের মূল বাজেটের ১৭ দশমিক পাঁচ ভাগ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৬ ভাগ বড় এই বাজেটের জন্য অর্থসংস্থান করতে ৩৪ ভাগ বেশি রাজস্ব সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢালাও ১৫ ভাগ ভ্যাটসহ পরোক্ষ কর থেকে এই বর্ধিত রাজস্ব আদায়ের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সকল পণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে মূল্যস্ফীতির হারকে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যাবে। আর এই দুঃসহ ভারের সবটাই বহন করতে হবে গরিব-মধ্যবিত্তসহ সাধারণ নাগরিকদের। অথচ বিত্তবানদের ওপর ধার্য প্রত্যক্ষ কর একই পর্যায়ে রাখা হয়েছে, কর রেয়ার অব্যাহত রাখা হয়েছে, অপ্রদর্শিত কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে ইত্যাদি। এই বাজেটে এভাবে গরিব জনগণের সম্পদ মুষ্ঠিমেয় লুটেরা ধনিকের হাতে প্রবাহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানো মনোতুষ্টির নিস্ফল প্রয়াস চালানো হলেও এ কথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে বাজেটের আসল লক্ষ্য হলো জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশী-বিদেশী লুটপাটকারীদের পকেট ভারি করা। এবারের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ স্মরণকালে সর্বোচ্চ উল্লেখ করে দলটির নেতারা বলেন, ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৪ ভাগ। এই বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মের কাঁধে বিশাল ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বাজেটের পরিমাণকে চার লাখ কোটি টাকার উর্ধে উন্নীত করা হয়েছে।
×