ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্টক ব্রোকাররা শর্ট সেল করতে পারবে

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১ জুন ২০১৭

স্টক ব্রোকাররা শর্ট সেল করতে পারবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাজার সৃষ্টিকারীর (মার্কেট মেকার) নিবন্ধপ্রাপ্ত স্টক ব্রোকার বা ডিলাররা একটি কোম্পানির শেয়ারে তাদের একদিনের মোট লেনদেনের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ শর্ট সেল করতে পারবে। গত ৯ মে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বাজার সৃষ্টিকারী) বিধিমালা, ২০১৭ এর চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। শিগগিরই বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত বিধিমালায় স্টক ব্রোকারদের এমন সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এর আগে খসড়া বিধিমালায় ২০ শতাংশ শর্ট সেলের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, পোর্টফোলিওতে শেয়ার না থাকা সত্ত্বেও শেয়ার বিক্রি করাকে শর্ট সেল বলে। এতে নির্ধারিত শেয়ার দর স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ার দরের নিচে হবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাজার সৃষ্টিকারীদের শর্ট সেলের সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানায় কমিশন। জানা যায়, মার্কেট মেকার বিধিমালায় শুধুমাত্র স্টক ব্রোকার এবং স্টক ডিলাররা বাজার সৃষ্টিকারীর নিবন্ধন পাবেন। আর বাজার সৃষ্টিকারীরা পুঁজিবাজারের অবস্থা অনুযায়ী শেয়ার কেনাবেচার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার দর ধরে রাখবেন। কমিশনের কর্মকর্তারা আরও জানান, চূড়ান্ত বিধিমালায় বাজার সৃষ্টিকারীর নিবন্ধন পেতে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন অর্জন শিথিল করা হয়েছে। অর্থাৎ ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন হলে বাজার সৃষ্টিকারী নিবন্ধন নেয়া যাবে। আর পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা হলে বাজার সৃষ্টিকারী একটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করতে পারবে। এর বেশি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করতে হলে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে হবে। আর ৫০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন হলে ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করা যাবে। একজন বাজার সৃষ্টিকারী সর্বোচ্চ ৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করতে পারবে। বাজার সৃষ্টিকারীর খসড়া বিধিমালায় ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ হয়েছিল। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) পরিচালনার জন্য বাজার সৃষ্টিকারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানায় কমিশন।
×