স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘বরেণ্য যাত্রানট মুকুন্দ ঘোষ ও কীর্তিময়ী যাত্রাভিনেত্রী কৃষ্ণা চক্রবর্তী তাদের সুদীর্ঘ জীবন উৎসর্গ করে গেছেন যাত্রাশিল্পে। রাতভর তারা অসংখ্য দর্শকের করতালিতে অভিনন্দিত হয়েছেন। সেই সব মানুষের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবেন এই দুই প্রথিতযশা যাত্রাশিল্পী। গত সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে মুকুন্দ ঘোষ ও কৃষ্ণা চক্রবর্তী স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশিষ্ট নাট্যজন মামুনুর রশীদ এ কথা বলেন। এ বছরের ৩ এপ্রিল সাতক্ষীরায় ৭৭ বছর বয়সে মুকুন্দ ঘোষ এবং গত ৮ মে বাগেরহাটে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৫১ বছর বয়সে কৃষ্ণা চক্রবর্তী পরলোকগমন করেন। বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি মিলন কান্তি দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় মুকুন্দ ঘোষ ও কৃষ্ণা চক্রবর্তীর জীবন, কর্ম ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত একটি ধারণাপত্র শুরুতেই উপস্থাপন করেন তিনি। আইরিন পারভীন লোপার সঞ্চালনায় ধারণাপত্রের আলোকে প্রয়াত দুই শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ড. আমিনুর রহমান সুলতান, ড. তপন বাগচী, ড. আলমগীর হোসেন, কবি মহসীন হোসাইন, অপূর্ব কুমার কু-ু, অধ্যাপক মাজিয়া আক্তার এবং বাংলাদেশ যাত্রা ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল এ্যাড. হাসান কবির শাহীন। তত্ত্বাবধানে ছিলেন যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার জসীম, সহ-সম্পাদক এম আলম লাভলু প্রমূখ।