ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৩৩ মাঝি-মাল্লা ও জেলেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১ জুন ২০১৭

৩৩ মাঝি-মাল্লা ও জেলেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় মোরার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া নৌকার ৩৩ মাঝি-মাল্লা ও জেলেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। মহেশখালী সংলগ্ন সাগর থেকে এদের সঙ্গে একজন জেলের লাশও উদ্ধার করা হয়েছে বলে বুধবার ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরা। ঝড়ে বঙ্গোপসাগরে ছয়টি মাছ ধরার ট্রলারের ৭১ জন মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ হওয়ার খবর জানিয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। একজনের ডুবে মারা যাওয়ার খবরও জানানো হয়েছিল তখন, যদিও তার লাশ পাওয়া যায়নি। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে আসা ভারতের নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস সুমিত্রা পথে সাগরে এই জেলেদের দেখে উদ্ধার অভিযান চালায় বলে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে। দূতাবাস জানিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সহযোগিতা করতে সাগরে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। অভিযান শেষ হলে এটি চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে। ৯ প্রতারক গ্রেফতার ॥ ২ অপহৃত উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার ॥ নয় প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে দুই ব্যক্তি। উদ্ধারকৃতদের পাত্রী দেখানোর কথা বলে অপহরণ করেছিল গ্রেফতারকৃতরা। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়ার শাহজালাল রোডের বাণী গার্মেন্টসসংলগ্ন আয়েশা মঞ্জিল নামের বাড়ির চতুর্থতলায় অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের একটি দল। অভিযানে গ্রেফতার হয়Ñ আবদুল হালিম, রনি, মোবারক হোসেন, মোছাঃ রোজিনা, সেলিম ওরফে ঘটক সেলিম, মঞ্জু, রফিক, মোস্তফা ও হান্নান মাতাব্বর। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ওয়্যারলেস সেট ও দুই জোড়া হ্যান্ডকাফ। বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, গ্রেফতারকৃতরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করত। এরপর অপহৃতদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যবসায়িক, পাত্র-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দিত। বিজ্ঞাপন দেখে কেউ সেখানে গেলে তাদের কৌশলে ও জোরপূর্বক অপহরণ করত। তাদের কাছ থেকেও মুক্তিপণ হিসেবে টাকা আদায় করত। মহিলাদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও দেশে-বিদেশে পাঠানোর নাম করে পতিতাবৃত্তি করাতো। নিরীহ ব্যক্তিদের বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ করত। বাড়ি থেকে আবদুল আজিজ ও আরমান নামে দুইজনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের বরাত দিয়ে ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, তারা পাত্রী দেখার বিজ্ঞাপন দেখে সেখানে গিয়েছিল। যাওয়ার পর তাদের আটকে রাখে। তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিল। সংবাদ সম্মেলনে ডিবির মিডিয়া, পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার যথাক্রমে মাসুদুর রহমান, সাজ্জাদুর রহমান, নুরুন্নবী ও মোঃ শহীদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
×