ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শতাব্দী জুবায়ের

গরমে শ্রমিকের কল্যাণে...

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১ জুন ২০১৭

গরমে শ্রমিকের কল্যাণে...

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বের তাপমাত্রা আজ এলোমেলো। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ। এই ছয়টি ঋতুর মধ্যে গ্রীষ্মকাল একটি। এই ঋতুতে কখনও বৃষ্টি হয়, আবার কখনও টানা সপ্তাহব্যাপী থাকে না বৃষ্টি। তাই বেড়ে যায় তাপমাত্রা। গ্রীষ্মের দাবদাহে শরীরের চামড়া পুড়ে যায় যায় এরকম অবস্থা হয় দুপুরে। গরমে শ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেন বেড়ে চলে উত্তাপ। গত কিছু দিনের তাপমাত্রা ছিল চরমে। অতিষ্ঠ করেছে জনজীবনকে। গরমে প্যাচপ্যাচে ঘামে শরীর ভিজে যায়। দেখা দেয় নানা রোগ। বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা আরও ভয়ানক হয়ে যায়। কেউ দুই তিনবার গোসল করে, কেউবা ঘরের মেঝের মধ্যে শুয়ে পড়ের গরম থেকে বাঁচতে। এই দুঃসহ গরমে যে কোন সময় যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এই সময় আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। এই দাবদাহের কারণে শরীরের সুস্থতার জন্য পানি পান করা দরকার পেট পুরে। কারণ এই দুঃসহ গরমে শরীরের ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায় প্রচুর পানি। এই পানির ঘাটতি পূরণের জন্য বেশি বেশি পানি পান করা জরুরি। গরমে শরীরের ক্লান্ত কোষগুলোকে সচেতন করার জন্য চাই পানি। শরীরে পানির অভাব হলে মাংস পেশীগুলো ভালভাবে কাজ করে না। গরমে সুস্থ থাকার জন্য খেতে পারেন তরল খাবার। যেমন তরমুজ, ডাবের পানি, বেলের শরবতসহ, নানা ফলের শরবত। বাংলাদেশে শ্রমের বাজার সবচেয়ে সস্তা। তাদের শরীরের ঝরা ঘামের বিনিময়েই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত কিছুদিনের গরমে বিভিন্ন গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে যান। পরে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। যদি দাবদাহের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে কারখানার কাজ অর্ধ দিবস করা যেতে পারে। কারণ তাপের পরিমাণ বেড়ে যায় ১২টার পর থেকে। শ্রমিকরা যদি সুস্থ না থাকে তাহলে কারখানায় কাজ করবে কে? তাই মালিকদের শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা, তাদের শরীরের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেয়া উচিত। হাত বাড়িয়ে দিতে হবে তাদের দিকে। সেইসঙ্গে রিক্সাঅলাদের ন্যায্য ভাড়া থেকে কিছুটা বেশি প্রদান করুন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×