ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গতদের পুনর্বাসনে যা যা করার সবই করা হবে ॥ সংসদে প্রধানমন্ত্রী

আমরা জনগণের সেবায় রাজনীতি করি

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১ জুন ২০১৭

আমরা জনগণের সেবায় রাজনীতি করি

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরায়’ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, আমরা জনগণের সেবার জন্যই রাজনীতি করি। কেবল সরকারে নয়, বিরোধী দলে থাকতেও যেকোন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু সেই দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এই ধরনের দুর্যোগে মানুষের জীবন রক্ষাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। তাই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে যা যা করার তার সবই করা হবে। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে সরকারী ও বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্যের লিখিত ও সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকাল সাতটায় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা সফর শেষে দেশে ফিরেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। তার এই ক্লান্তিহীন পরিশ্রমের ভূয়সী প্রশংসাও করেন প্রশ্নকর্তা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী। সরকারী দলের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসও হবে। কিন্তু ওই সময় আমাদের প্রথম কর্তব্য মানুষের জীবন রক্ষা করা। আমরা সতর্ক আছি। যখনই ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাই, তখনই কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এবং সেগুলো মোকাবেলায় কার কী করণীয় তা নির্ধারণ করে মানুষের পাশে ছুটে যাই। সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করি বলেই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হই। ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে যে পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। সাগরে ভাটা থাকায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। তবে প্রচুর ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। সরকার ও সচেতন প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, ভিয়েনা সফরে থাকতেই ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর দুইটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ তৎপরতাসহ মানুষের জানমাল রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোকেও ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে লাগানো হবে। তিনি জানান, বুধবার সকালে দেশে ফেরার পরপরই তিনি গণভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে। দলের পক্ষে একাধিক টিমও গঠন করা হয়েছে। যেগুলো আজ-কালের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু করবে। কেমন ক্ষতি হয়েছে, পুনর্বাসনে কী কী করণীয় সেগুলোও তারা (আওয়ামী লীগ) নির্ধারণ করে সুপারিশ করবে। সরকার, প্রশাসন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সব বাড়িঘর মেরামত করে দেয়া হবে। খাদ্য ও নগদ সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনে সবকিছু করা হবে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকার নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার ‘মুজিব কেল্লা’র উন্নয়নসহ নতুন নতুন সাইক্লোন সেন্টার তৈরি ও উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদহানি হলেও তৎকালীন বিএনপি সরকারের নিদারুণ ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও মানুষের জানমাল রক্ষায় বিএনপি সরকারের কোন পূর্বপ্রস্তুতিই ছিল না। এ কারণে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, ঘরবাড়ি ও সম্পদ ধ্বংস হয়। বিপুল সংখ্যক গবাদি পশু ভেসে যায়। নৌবাহিনীর জাহাজ ও বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় বিরোধী দলে থাকলেও আমরা দলের সব সংসদ সদস্যকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি এমনকি মারা যাওয়া মানুষের মরদেহ উদ্ধার ও দাফনের পদক্ষেপও নিয়েছিলাম। তিনি বলেন, ওই সময় আমি সংসদে দাঁড়িয়ে লাখ লাখ প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদ ধ্বংসের কথা তুলে ধরলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল, তত মানুষ মারা যায়নি।’ আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘কত মানুষ মারা গেলে আপনার তত মানুষ হতো?’ খালেদা জিয়া এই প্রশ্নের জবাব দেননি। কত লাখ মানুষ মারা গেছে, কত গবাদি পশু ভেসে গেছে, কত ঘরবাড়ি ও গাছপালা ধ্বংস হয়েছে- তার খোঁজখবরও বিএনপি সরকার রাখেনি। সরকারী দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওড়সহ দুর্গত এলাকায় নদীভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণসহ প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এটি শেষ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও শুরু হবে। তবে এই কাজগুলো একসঙ্গে শুরু ও শেষ করার পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা একপর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্ষা মৌসুম এসে যাওয়ায় আবারও নদীভাঙ্গন শুরু হয়ে যায়। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাওড়, বাঁওড় ও বিলের উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যেই হাওড় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছে। এই কার্যক্রমগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন দরকার। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢিমেতালে চললে চলবে না। এই কাজগুলোতে গতিশীলতা আনতে হবে। অর্থনৈতিক সাফল্যের আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সরকারী দলের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের গত ৮ বছরের উন্নয়ন-সাফল্য তুলে ধরে বলেন, সরকারের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টায় অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থারও নজর কেড়েছে। সিটি গ্রুপের বিবেচনায় ২০১০ হতে ২০৫০ সময়ে বিশ্বে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি সঞ্চালক থ্রি-জি (গ্লোবাল গ্রোথ জেনারেটর) দেশগুলো এবং বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে জেপি মরগানের ফ্রন্টিয়ার ফাইভ তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। তিনি জানান, প্রথমবারের মতো ২০০৯-’১০ অর্থবছরে স্ট্যান্ডার্ড এ্যান্ড পোর’স এবং মোডি’স বাংলাদেশের ওপর সভরিন ক্রেডিট রেটিং প্রণয়ন করে। প্রতিকূল বিশ্ব বাস্তবতার মাঝেও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোত্তম সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের সমতুল্য পরিশোধের সক্ষমতার মানদ- অর্জন ও অক্ষুণœ রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল দীর্ঘ হয়েছে। প্রত্যাশিত গড় আয়ু ২০০৫ সালে ৬৫ দশমিক ২ বছর; যা ২০১৫ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ দশমিক ৯ বছর হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদেই তিস্তা চুক্তি সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। বিশেষভাবে, গত ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে আমার ভারত সফরকালে শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি স্বল্পতার কারণে দু’দেশের জনদুর্ভোগের কথা অনুধাবন করে জরুরী ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া প্রয়োজন মর্মে যৌথ ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জানান, উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের দিক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ২০২১ সালে তিস্তা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। অচিরেই সমতা, ন্যায়ানুগতা এবং পারস্পরিক ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রধনমন্ত্রী আরও জানান, তার ৭-১০ এপ্রিল ভারত সফরকালে প্রকাশিত যৌথ ঘোষণায় জানুয়ারি, ২০১১ সালে দু’দেশ কর্তৃক সম্মত চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী তিস্তার অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি সম্পাদনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি। আশু চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে ভারত সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে মর্মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তার ও আমার সরকারের বর্তমান মেয়াদের মধ্যেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদিত হবে। ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ সমাপ্ত সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৈসর্গিক সৌন্দর্যম-িত কক্সবাজারে ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায় সম্প্রতি কক্সবাজার শহর থেকে সীমান্তবর্তী টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি ৩টি পর্যায়ে বিভক্ত করে এর মেয়াদকাল ছিল সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ হতে জুন ২০১৮ পর্যন্ত। নির্ধারিত তারিখের পূর্বেই অর্থাৎ গত ৬ মে আমি এর উদ্বোধন করেছি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে কক্সবাজারকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত সরকারী দলের সিরাজুল ইসলাম মোল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সামরিক বাহিনীর সুবিধা ও তাদের স্বাধীনভাবে নিজস্ব নিয়মে পরিচালিত হওয়ার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। সশস্ত্র তিনটি বাহিনীর নীতিনির্ধারণী কার্যক্রম সম্পন্নের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে ভিশন-২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাহিনী প্রধানগণ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতে দারিদ্র্য সূচকের ভিত্তিতে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের ৫০ লাখ পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি পরিবারকে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস ১০ টাকা কেজি মূল্যে মাসিক ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করে আসছে। তিনি জানান, ঢাকা মহানগরসহ শ্রমঘন জেলা ও বিভাগীয় শহরে ওএমএস খাতে স্বল্প মূল্যে আটা বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকায় ওএমএস খাতে চাল বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দুর্গত ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণে ভিজিডি, ভিজিএফ, জিআর ইত্যাদি খাতে সরকারী খাদ্যগুদাম হতে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়।
×