সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা ॥ পাবনার বেড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে এ কৃষির সাথে জড়িত শত শত পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে।
পাবনা জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেড়া উপজেলায় বাদামের ফলন বেশি হয়। বাদামের জন্য বেলে মাটি দরকার। আর চরবেষ্টিত এ অঞ্চলের মাটি বাদাম চাষের জন্য খুব উপযোগী। বর্ষার জল নেমে যাওয়ার পর পদ্মা যমুনার বড়ালের বিস্তির্ণ অঞ্চলে চর জেগে ওঠে।
এসব চরে তখন সেখানে কৃষকরা বাদামের চাষ করেন। কারণ এই মাটিতে উপযোগী বাদাম সবচেয়ে লাভজনক ফসল। আর অকাল বন্যা না হলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না। বাদামের বীজ বোনা থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত নারী-পুরুষ বহু শ্রমিক এর সাথে যুক্ত থাকে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এগারশ’ ষাট হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ করা হয়েছে। বাদামের ফলনও হয়েছে খুব ভাল। এখান থেকে দুই দশমিক চার টন বাদামের উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যা পাবনাসহ সারাদেশে বিক্রি হয়। এ অঞ্চলে সাধারণত ডিজি-১ ও ডিজি-২ জাতের বাদাম চাষ করা হয়।
উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নে বাদামের চাষ করা হয় সবচেয়ে বেশি। তাছাড়াও হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চরগুলোতে ব্যাপক হারে বাদাম চাষ হয়ে থাকে। বাদাম জমি থেকে তোলার পর গাছ থেকে বাদাম ছাড়াতে মহিলাদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে বাদাম তোলার কাজ শুরু হয়ে গেছে। জমি থেকে বাদাম গাছসহ সংগ্রহ করে খোলা জায়গায় এনে জড়ো করছে। তারপর স্থানীয় মহিলারা গাছ থেকে বাদাম আলাদা করবে। তারপর রোদে শুকানোর পর অনেক বাদাম থেকে খোসা ছাড়িয়ে ফল আলাদা করার জন্য পাইকারি বিক্রি করা হয়। তাছাড়া খোসা থেকে বাদাম ছাড়াতেও বহু অসহায় নারীর আয়ের পথ হয়। তাই বাদাম এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।