ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিয়ে পাগল রবিউল ইসলাম এখান কারাগারে

প্রকাশিত: ২২:২৫, ৩১ মে ২০১৭

বিয়ে পাগল রবিউল ইসলাম এখান কারাগারে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি ॥ বিয়ে পাগল ঝালকাঠির উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের রবিউল ইসলামকে ২য় স্ত্রী বেবি আক্তার চট্টগ্রাম থেকে ধরে এনেছে এবং মঙ্গলবার রাতে রবিউলকে ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। রবিউলের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী মাজেদা বেগমের দায়ের করা মামলায় আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা জরি ছিল। যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে সাজেদা বেগম ৭ জানুয়ারী ২০১৬ তারিখ মামলা দায়ের করেছে। রবিউল ইসলাম সদর উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের পুত্র। প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ বিদেশে যাওয়ার কথা বলে তার পিত্রালয় থেকে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয় কিন্তু টাকা নিয়েও ৬ বছরের কন্যা সন্তানসহ সাজেদা বেগমকে তার পিত্রালয় ফেলে রাখা হয়েছে এবং আরও টাকা যৌতুক দাবি করা হচ্ছে। বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করার পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। জনা গেছে, ঝালকাঠি জেলা সদর নেছারাবাদ এলাকার মৃত জয়নাল আবেদন হাওলাদারের কন্য সাজেদা বেগমের সাথে ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রবিউলের সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্ব জীবনে ৬ বছরের একাটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠী গ্রামের সালাম মৃধার কন্যা বেবি আক্তারকে রবিউল ২য় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বেবি আক্তার তার স্বামীকে তালাক দিয়ে রবিউলের সাথে বিয়ে বসে। ৫ মাস পূর্বে বেবি আক্তারকে ফেলে রেখে রবিউল চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার সালাম মৃধার কন্যা জয়া বেগমকে বিয়ে করে এবং চট্টগ্রামের পেসসী কোম্পানীতে এস.আর চাকুরী নিয়ে সেখানেই ৩য় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিল। ২য় স্ত্রী বেবি আক্তার জানায় ইতিপূর্বে চাঁদপুরসহ কয়েকটি স্থান থেকে স্বামী রবিউলকে মিমাংসার জন্য ধরে আনার চেষ্টা করা হয়েছে তবে সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এবার যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বাসে তুলে পায়ে শিকল লাগিয়ে ঝালকাঠি আনা হয়েছে।
×