ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দীঘিপাড়া কয়লা খনির সম্ভাব্যতা জরিপের চুক্তি সই

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ৩১ মে ২০১৭

দীঘিপাড়া কয়লা খনির সম্ভাব্যতা জরিপের চুক্তি সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীঘিপাড়া কয়লা খনির সম্ভাব্যতা জরিপ পরিচালনার জন্য বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ার যৌথ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে মঙ্গলবার বিকেলে চুক্তিটি সই হয়। দীঘিপাড়া কয়লা খনি উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এই চুক্তি সই হলো। সরকারের দুই মেয়াদের মধ্যে এই প্রথম নতুন কোন কয়লা খনি নিয়ে কাজ শুরু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খনির কয়লা দিয়ে একটি এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুত কেন্দ্র চালানো সম্ভব। খনিটির কয়লা তোলার সম্ভাব্যতা জরিপ চালাবে জার্মানির মিরবাগ কনসালটিং ইন্টারন্যাশনাল, দেশটিরই অন্য একটি কোম্পানি ফুগরো রয়েছে এই কাজের সঙ্গে। এদের সঙ্গে কাজ করবে অস্ট্রেলিয়ার রাঞ্জ পিনকোক মিনারকো লিমিটেড। জরিপে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬৭ কোটি টাকার বেশি। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ ১ জুন ২০১৭ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অর্থাৎ ২৭ মাস। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘কয়লা’ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে কয়লা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। বড়পুকুরিয়ার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কোম্পানিটির সচিব মোঃ আবুল কাশেম প্রাধানীয়া এবং মিমবার্গের পক্ষে প্রজেক্ট ম্যানেজার আমীর খন্দকার, ফুগরোর পক্ষে প্রকল্প পরিচালক রফ বল্টস এবং রাঞ্জ পিনকোক মিনারকো লিমিটেডের পক্ষে সিমন আসকে ডুরান। এ সমীক্ষার আয়তন হবে ২৪ বর্গকিলোমিটার। অনুসন্ধানমূলক ড্রিলিং, ৩ডি সাইসমিক জরিপ, খনির নক্সা এবং প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় এবং একটি পুনর্বাসন পরিকল্পনা প্রণয়ন, ভূতাত্ত্বিক এবং ভূজলীয় অবস্থা নিরূপণ, কয়লা উত্তোলন, প্রকৃত মজুদ, বাৎসরিক উৎপাদন হার, এবং কয়লা খনির মেয়াদকাল নির্ণয় বিস্তারিত অর্থনৈতিক মূল্যায়ন এবং প্রকল্প বাণ্যিজিকভাবে লাভজনক কি না, তা নির্ণয় করতেই এই সমীক্ষা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, এখানে ৮৬৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লার মজুদ রয়েছে যা বাণ্যিজিকভাবে উত্তোলন করা সম্ভব হলে এলাকার মানুষের আর্থসামজিকও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
×