ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের বোলিং তোপে অসহায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:২২, ৩১ মে ২০১৭

ভারতের বোলিং তোপে অসহায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে আরও বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার কেনিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি ম্যাচে ২৪০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ভারত। জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতার লজ্জাজনক প্রদর্শনী দেখিয়ে ২৩.৫ ওভারে মাত্র ৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। উল্লেখ্য, প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ৩৪১ রান করেও পাকিস্তানের কাছে ২ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ দল। এই কেনিংটন ওভালেই বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। মঙ্গলবারের প্রস্তুতি ম্যাচে টস করতে নামেন সাকিব আল হাসান, নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি খেলেননি। টস জিতে আগে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। টস করলেও ব্যাটিংয়ে নামেননি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনিও নামেননি। শুরুতেই ভারতীয় দলকে ধাক্কা দিয়েছিলেন পেসার রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রোহিত শর্মাকে (১) বোল্ড করেন রুবেল এবং সপ্তম ওভারে অজিঙ্কা রাহানেকে (১১) বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। এরপর ১০০ রানের জুটি গড়ে বিপদ কাটান শিখর ধাওয়ান ও দীনেশ কার্তিক। ধাওয়ান ৬৭ বলে ৭ চারে ৬০ রান করে ফিরে যাওয়ার পর দীনেশ ও হার্দিক পা-িয়া ঝড় তোলেন। তাদের তা-বে তাসকিন আহমেদ, সাকিব ও সানজামুল ইসলাম হিমশিম খেয়ে যান। দীনেশ মাত্র ৭৭ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৯৪ রান করে স্বেচ্ছাবসরে যান। আর হার্দিক ৫৪ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২৪ রান তোলে ভারত। বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে শুধু রুবেল ৯ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সানজামুল ২ উইকেট নিতে পারলেও ৯ ওভারে দেন ৭৪ রান। তবে মিতব্যয়িতা দেখিয়েছেন তরুণ অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি ৯ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৩৯ রান দেন। জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এদিন নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবালের পরিবর্তে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার নেমেছিলেন। ভারতীয় পেসারদের দাপট আর ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে বাংলাদেশ। সৌম্য (২), সাব্বির (০), ইমরুল (৭), সাকিব (৭), মাহমুদুল্লাহ (০), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (০) রানে ফিরে যান। তখন দলীয় রান ৬ উইকেটে ২২! চরম লজ্জায় পড়ার শঙ্কা দেখা দেয়। মুশফিকুর রহীম এরপরও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ফিরে গেছেন ১৩ রান করে। মিরাজ কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন, অষ্টম উইকেটে সানজামুলের সঙ্গে ৩০ রান যোগ করে। মিরাজ ৩৪ বলে ৪ চারে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন। সানজামুলের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। ২৩.৫ ওভারে মাত্র ৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৩টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও উমেশ যাদব।
×