ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেধাবী লাবণ্যের দায়িত্ব নিলেন ডিসি

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৩১ মে ২০১৭

মেধাবী লাবণ্যের দায়িত্ব নিলেন ডিসি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে অনিশ্চয়তায় পড়া এসএসসিতে জিপিএ-৫ গোল্ডেন পাওয়া মেধাবী ছাত্রী লিমানা খন্দকার লাবণ্যকে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রাহীম লাবণ্যের এইচএসসিতে পড়াশোনাকালীন সকল খরচ বহন করার ঘোষণা দিয়েছেন। লিমানা খন্দকার লাবণ্যকে নিয়ে জনকণ্ঠে ৭ মে ‘মেধাবী লাবণ্য আইনজীবী হতে চায়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের উদ্যোগে নগদ ছয় হাজার টাকা তার কাছে তুলে দেন নবাগত জেলা প্রশাসক। সে সময় লিমানা খন্দকার লাবণ্য’র বাবা লোটন খন্দকার উপস্থিত ছিলেন। নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে (২০১৭) এসএসসি মানবিক বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-পাঁচ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্রী লাবণ্য। কলাপাড়ায় চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টায় মামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩০ মে ॥ চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টায় মারধর। বাড়িঘর ভাংচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে কলাপাড়া বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক ও চাকামইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান ফকিরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ মামলাটি করেছেন বেতমোর গ্রামের কৃষক আলম হাওলাদার। মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা দস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। কচুপাত্রা মৌজার খাস খতিয়ানের ৩৮০৭ নম্বর দাগের এক একর জমি ২০১১/২০১২ সালে বন্দোবস্ত পেয়ে ঘর তুলে কৃষক আলম বসবাস করে আসছেন। ওই বাড়ি থেকে উৎখাতের জন্য আসামিরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। যা না পেয়ে ১৯ মে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আলমের বসতঘর ভেঙ্গে দেয়। বেড়া-খুঁটি উপড়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফের কৃষক আলমকে ২৭ মে বিকেলে মারধর করা হয়। বর্তমানে এ পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীন রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। আলম আরও জানান, বর্তমানে মজিবর ফকিরসহ বাচ্চু তালুকদার, কালাম চৌকিদার তাকে সর্বদা হুমকি দিয়ে আসছে। উল্লেখ্য, চারদলীয় জোট সরকারের সময় মজিবর ফকিরকে র‌্যাবসহ থানা পুলিশ সন্ত্রাসী কর্মকা-ের কারণে একাধিকবার গ্রেফতার করে। বিজ্ঞ আদালত কলাপাড়া থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মজিবর ফকির জানান, এলাকার মানুষের করা ঘরবাড়ির মধ্যে ভুয়া কার্ড করে হয়রানি করে আসছে আলম। যার প্রতিবাদ করায় ষড়যন্ত্র করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। চাঁদাবাজিসহ হত্যাচেষ্টা ও মারধরের ঘটনায় তাকে জড়ানোর ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
×