ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুবককে নির্যাতন

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৩১ মে ২০১৭

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি, ৩০ মে ॥ রাজাপুরে এক যুবককে প্রকাশ্যে উলঙ্গ করে পিটিয়ে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগে সাতুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নির্যাতিতার মা জাতীয় জয়ীতা পদকপ্রাপ্ত হেলেনা বেগম বাদী হয়ে নালিশী অভিযোগ করেন। এই আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া আমেনা অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বরিশাল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৪ মে সকালে রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাঁরাবুনিয়া গ্রামে বাড়ির পাশের দোকানী ইউসুফ আলীর কাছে পাওনা টাকা চাইতে যায় হেলেনা বেগমের ছেলে রাহাত। টাকা না দেয়ায় দোকানীর সঙ্গে রাহাতের বাগবিত-া ও হাতাহাতি হয়। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে ইউসুফের পক্ষ নিয়ে সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান তার লোকজন নিয়ে হেলেনা বেগমের বাড়িতে যায়। তারা রাহাতকে বাড়িতে বসেই পরিবারের সদস্যদের সামনে মারধর করে ধরে নিয়ে যায়। এরপর রাহাতকে ওই এলাকার আমতলা বাজারে, লেবুবুনিয়া বাজারে ও নৈকাঠি বাজারে উলঙ্গ করে প্রকাশ্য মারধর করে। এতে রাহাত অচেতন হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে চেয়ারম্যানের লোকজন চারটি ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে রাহাতকে রাজাপুর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ দাবি করেছে, রাহাতকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁরাবুনিয়া থেকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। যশোরে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে যুবকের ফাঁসি স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ শিশু সাবিনা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় লাভলু নামে এক যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক অমিত কুমার দে এ আদেশ দেন। লাভলু যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় লাভলু ও আনোয়ার সাবিনাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরদিন ২৪ মার্চ নিহতের বাবা এড়েন্দা গ্রামের বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণকালে আসামি আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি লাভলুর বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। মানিকগঞ্জে স্বামীর মৃত্যুদ- নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, সদর উপজেলার সুরুন্ডী গ্রামে রেহেনা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী রুবেল মোল্লাকে মৃত্যুদ-াদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল মাহমুদ ফায়জুল কবির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নিরঞ্জন বসাক জানান, রেহেনা বেগমের সন্তান না হওয়ার কারণে স্বামী রুবেল তাকে প্রায়ই মারধর করতো। ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী রেহেনা বেগমকে গলাটিপে হত্যা করে রুবেল। এর পর রুবেল স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। প্রতিবেশীরা বিষয়টি বিশ্বাস করতে না পেরে রুবেলকে আটক করে পুলিশে দেয়। আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মামলার একমাত্র আসামি রুবেলকে মৃত্যুদ-ও অর্থদ- প্রদান করেন।
×