ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ-ভারত ও নেপাল সীমান্তে অবৈধ বাণিজ্যই হচ্ছে বেশি

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৩১ মে ২০১৭

বাংলাদেশ-ভারত ও নেপাল সীমান্তে অবৈধ বাণিজ্যই হচ্ছে বেশি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ-ভারত ও নেপাল সীমান্তে বৈধ উপায়ের চেয়ে অবৈধ বাণিজ্যই হচ্ছে বেশি। আর পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় তা মোট বাণিজ্যের ৭২ ভাগ। বিশেষ করে কৃষি উপকরণ ও কৃষিবীজ অধিকাংশেরই লেনদেন হয় অনানুষ্ঠানিক বা অবৈধপথে। বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল সীমান্তের ৮টি পয়েন্টের ওপর চালানো জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এসব বীজের অনুপ্রবেশ দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বন্ধুপ্রতীম তিন দেশ বাংলাদেশ-ভারত ও নেপাল। দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেমন বাড়ছে তেমনি সীমান্ত এলাকায় অনানুষ্ঠানিক বা অবৈধপথে লেনদেনও কম নয়। বিশেষ করে কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রাংশের অধিকাংশই কেনাবেচা হয় অনানুষ্ঠানিক বা অবৈধপথে। এই যেমন ভারতের মালদা ও কোচবিহার সীমান্ত। এই দুই সীমান্ত দিয়ে বিআর-১১, সিডি পাম্প ও বিরি ২৮/২৯ এই কৃষি উপকরণগুলো বাংলাদেশ থেকে কেনেন ভারতীয় চাষীরা। একইভাবে বাংলাদেশের রাজশাহী ও রংপুর সীমান্ত দিয়ে টমেটো বীজ, গুটি স্বর্ণা, ট্রাক্টরের যন্ত্রাংশ ও ডিএপি সার কেনেন বাংলাদেশের কৃষকরা। অন্যদিকে ভারত ও নেপালের ধানুসনা ও সুনসারি সীমান্ত দিয়ে ধানবীজ, সবজি বীজ ও বিভিন্ন রকমের স্প্রে মেশিন আদানপ্রদান করেন দুই দেশের চাষীরা। তবে এই লেনদেন এর কোন কিছুই হচ্ছে না আনুষ্ঠানিক বা বৈধ কোন পথে। কৃষকের কাছ থেকেই তা হাতবদল হয়ে যাচ্ছে দুই দেশের এজেন্ট ও ডিলার ও দালালদের কাছেও। সীমান্তের এই কৃষি উপকরণের ওপর সম্প্রতি জরিপ করেছে গবেষণা সংস্থা কাটস ইন্টারন্যাশনাল। তিন দেশের ৮টি বর্ডার অঞ্চলের ওপর চালানো হয় এ জরিপ। গবেষণা কাজে যুক্ত থাকা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমুন্নয় বলছে, উভয় দেশের জলবায়ুর মিল থাকায় এই পণ্যগুলোর চাহিদা তৈরি হয়েছে। তবে এসব বীজ উপকরণ কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই উৎপাদন করছেন চাষীরা। তাই এর খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা। ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে প্রতিনিধি দল অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেছেন নেপালের সাংবাদিক প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে মুগ্ধ। তাদের প্রত্যাশা, সাশ্রয়ী মূল্য এবং উচ্চমানের কারণে নেপালের বাজারে খুব শক্ত অবস্থান তৈরি করবে ওয়ালটন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে নেপালে রফতানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন করেন নেপালের সাংবাদিকরা। নেপাল ফোরাম অব ফটো জার্নালিস্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন তেজ বাহাদুর বাসনেট। এতে ছিলেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে কর্মরত ১০ জন সাংবাদিক। সোমবার সকালে ওয়ালটন কারখানায় পৌঁছলে তাদের শুভেচ্ছা জানান ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর আলম সরকার।
×