ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের অদূরদর্শী নীতি পশ্চিমকে দুর্বল করবে

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৩১ মে ২০১৭

ট্রাম্পের অদূরদর্শী নীতি পশ্চিমকে দুর্বল করবে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অদূরদর্শী নীতির জন্য তার তীব্র সমালোচনা করেছে জার্মানি। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত এই নীতির ফলে পশ্চিমা বিশ্ব দুর্বল হয়ে পড়বে এবং ইউরোপীয় স্বার্থ ক্ষুণœ হবে। সৌদি আরব, ইসরাইল, ব্রাসেলস সফর এবং ইতালিতে অনুষ্ঠিত ৭ জাতিভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন শেষে ট্রাম্প দেশে ফিরে যাওয়ার পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল এভাবেই তার সফরের মূল্যায়ন করেন। এর আগে গত রবিবার এ্যাঞ্জেলা মেরকেল ব্রাসেলসের ন্যাটো সম্মেলন থেকে ফিরে এসে তীব্র ভাষায় তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এখন আর ইউরোপের নির্ভরশীল অংশীদার নয়। অন্যদের ওপর ভরসা করার সময় পেরিয়ে গেছে এবং গত কয়েকদিনে আমি তা বুঝতে পেরেছি। এ্যাঞ্জেলা মেরকেলের এই ক্ষোভ এবং আত্মোপলব্ধি হঠাৎ করে হয়নি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফরের শুরু হয়েছিল সৌদি আরব থেকে। তেল সমৃদ্ধ এই দেশটি সুন্নী প্রধান আরও কয়েকটি আরব দেশকে সঙ্গে নিয়ে ইয়েমেনের শিয়া মুসলিমদের ওপর বেশ কিছুদিন যাবত নির্বিচারে বোমা হামলাসহ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে এবং এই হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও সামরিক রসদের যোগান দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বিশার অঙ্কের সর্ববৃহৎ অস্ত্র ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একশ’ দশ বিলিয়ন ডলারের এই অস্ত্র ক্রয় চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একক বৃহত্তম। এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে যুদ্ধ জাহাজ, ট্যাঙ্ক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মূলত একজন ব্যবসায়ী। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি ব্যবসাটা ভালই বোঝেন। তাই সৌদি আরব সফরে গিয়ে বড় ধরনের একটি অস্ত্র চুক্তি করতে পেরে তিনি বেশ খোশ মেজাজেই ছিলেন। কিন্তু ব্রাসেলসে গিয়ে তার মেজাজ খিচড়ে গেলÑ ন্যাটো জোটভুক্ত ২৮টি দেশের ২৩টি দেশের তীব্র সমালোচনা করলেন ন্যাটো তহবিলে নির্ধারিত অঙ্কের অর্থ জমা না দেয়ার জন্য। -গার্ডিয়ান
×