ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এসডিজি বাস্তবায়নে আইএইএ’র সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:১৭, ৩০ মে ২০১৭

এসডিজি বাস্তবায়নে আইএইএ’র সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তায়নে বাংলাদেশসহ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য ইন্টারন্যাশনাল এ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) সহায়তা কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ অস্ট্রিয়ার রাজধানীতে আইএইএ’র এক সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ আইএইএ’র অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে চায় এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করতে আগ্রহী। এসডিজি বাস্তবায়নে বিশেষকরে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় আইএইএ’র প্রয়াস জোরদারে গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসডিজি অর্জনে সক্ষমতা গড়ে তোলা ও প্রযুক্তি স্থানান্তর খুবই প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে আইএইএ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশিদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের কাজ করার অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। আইএইএ’র ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সংস্থাটি অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ‘আইএইএ কারিগরী সহযোগিতা কর্মসূচির ৬০ বছর পেরিয়ে : উন্নয়নে অবদান’ শীর্ষক তিন দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করে। শেখ হাসিনা কারিগরী সহযোগিতার জন্য সংস্থাটির সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। আইএইএ’র মহা পরিচালক ইউকিয়া আমানো, মরিশাসের প্রেসিডেন্ট আমেনাহ গারিব-ফাকিম উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট তাবেরে ভাজকুয়েজ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। শেখ হাসিনা শান্তি ও উন্নয়নে পরমাণুর ব্যবহার নিশ্চিত করতে ৬০ বছরের অব্যাহত প্রয়াসের জন্য আইএইএ’র ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বিগত ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে সমর্থন দেয়ার জন্যও সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পরপরই আইএইএ বাংলাদেশকে সদস্য পদ প্রদান করে। আইএইএতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন তাঁর স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সংস্থাটির সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সংযোগের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাঁর (ওয়াজেদ মিয়া) দৃঢ় ও দূরদর্শী পদক্ষেপ শান্তিপূর্ণ কাজে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের রূপায়নের সহায়ক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্র (এইআরসি) ৩০ বছরের বেশী সময় ধরে গবেষণা, রেডিয়োআইসোটপ উৎপাদন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করছে। সূত্র:বাসস
×