ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীতে ‘মোরা’র তান্ডবে লন্ডভন্ড, নিখোঁজ শতাধিক

প্রকাশিত: ০০:২৩, ৩০ মে ২০১৭

বাঁশখালীতে  ‘মোরা’র তান্ডবে লন্ডভন্ড, নিখোঁজ শতাধিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র তান্ডবে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। প্রাথমিক ভাবে ৭ হাজার বাড়ীঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত কোটি কোটি টাকার লবণ মাঠ বিলীন ও বঙ্গোপসাগরে ৭-৮টি ফিশিং বোটসহ শতাধিক মাঝিমাল্লা নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। তবে বাঁশখালীর গন্ডামারা ও শেখেরখীল ইউনিয়নে অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ সকালে টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানার পর বেলা ১২ টার দিকে বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে। ঘন্টাব্যাপী ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে বাঁশখালীর উপকূল চাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বাড়ীঘর বিধ্বস্ত, যোগাযোগ বন্ধ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে বিধ্বস্ত বাঁশখালী পরিদর্শনে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী এসেছেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা গুলো পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। এ সময় তার সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেনসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খানখানাবাদ, বাহারছড়া, সরল, গন্ডামারা, ছনুয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা কমবেশী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সব চাইতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন খানখানাবাদ, গন্ডামারা ও ছনুয়ার মানুষেরা। সোমাবর রাত থেকে উপকূলের অধিকাংশ মানুষ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ায় বড় ধরনের প্রাণ নাশের ঘটনা ঘটেনি। তবে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত ও আংশিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলের কোটি কোটি টাকার লবণ বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র সংকেতের খবর না পাওয়ায় গন্ডামারা ও শেখেরখীলের ৭-৮টি ফিশিং বোট উপকূলে আসেনি। ওই ফিশিং বোট গুলোতে শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ফিশিং বোট মালিক সমিতি। তাছাড়া মাঝিমাল্লারা নিখোঁজ থাকায় তাদের পরিবারে সদস্যদের মাঝে আহাজারি চলছে। সব মিলিয়ে বাঁশখালীর উপকূলসহ প্রত্যন্ত এলাকা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র তান্ডবে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
×