ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সুধীর বরণ মাঝি

শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নবম ও দশম শ্রেণি

প্রকাশিত: ০৯:০১, ৩০ মে ২০১৭

শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নবম ও দশম শ্রেণি

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া শিক্ষক, হাইমচর কলেজ, হাইমচর-চাঁদপুর। মোবাইল : ০১৭৯৪৭৭৭৫৩৫ পঞ্চম অধ্যায় ॥ ২ ॥ জারিফ ও আহনাফ উভয়ের বয়স সাত বছর। তাদের উচ্চতা যথাক্রমে ৩ফুট ও ৪ফুট। সম্প্রতি জারিফের গায়ে এবং হাত পায়ে পানি এসে ফুলে যায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দেখতে স্বাস্থ্যবান মনে হলেও শারীরিকভাবে সে খুবই দুর্বল। অন্যদিকে আহনাফ প্রতিদিন যথারীতি স্কুলে যায় কিন্তু রাতে পড়তে ও দেখতে তার অসুবিধা হয়। ফলে সে পড়াশুনায় অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। ক) খাদ্যের উপাদান কয়টি? খ) কীভাবে খাদ্যে বিষক্রিয়া তৈরি হয়? ব্যাখ্যা কর। গ) জারিফ কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং উত্তরণের উপায় ব্যাখ্যা কর। ক) উত্তর ঃ আমরা যা খেয়ে বেচেঁ থাকি তাই খাদ্য। আর এই খাদ্যের উপাদান ছয়টি। যথা, ১। আমিষ, ২। শর্করা, ৩। ¯েœহ, ৪। ভিটামিন, ৫। খনিজ লবন ও ৬। পানি। খ) উত্তর ঃ সাধারণত ব্যাকটোরিয়া দ্বারা সংক্রমিত অথবা টক্সিন বা বিশেষ ধরনের জৈববিষ দ্বারা খদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ব্যাকটোরিয়া নানাভাবে প্রবেশ করে। যেমন-খাবার তৈরি করে অনেকক্ষন রেখে দেওয়া, খাবার তৈরির আগে, তৈরির সময় এবং পরে, বাজার থেকে সংক্রমিত খাদ্যদ্রব্য ক্রযের সময়, ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের সংস্পর্শে খাদ্য বিষাক্ত হতে পারে। তাছাড়া প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করলে তা পচে গিয়ে টক্সিন বিষ তৈরি হয়। আবার বিষাক্ত জীবজন্তুর মাংস, বিষাক্ত জীবজন্তুর সাথে নির্গত রোগজীবাণু দ্বারা সংক্রমিত খাদ্য, অপরিষ্কার ও অপরিষ্কার হাত দিয়ে তৈরি খাদ্য, বিষক্রিয়ায় আক্রন্ত হাঁস-মুরগীর মাংস খাদ্য বিষক্রিয়ার অন্যতম কারণ। গ) উত্তর ঃ জারিফ কোয়াশিওরকর রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কোয়াশিওরকর রোগের লক্ষণ হলো শরীরে পানি আসে, ফুলে যায় এবং শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দেখতে স্বাস্থ্যবান মনে হলেও এটি একটি রোগ। খাদ্যে আমিষের পরিমাণ কম হলে কোয়াশিওরকর দেখা দেয়। এই রোগ থেকে উত্তোরণের উপায় হলো এই রোগের কারণ জানা, স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যতœ নেওয়া, খাদ্য তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার পর্যপ্ত পরিমাণে রাখা, আমিষের পরিমাণ বেশি আছে এমন খাবার খাওয়া। আমিষ জাতীয় খাদ্য যেমন- মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, পনির, ছানা, সব রকমের ডাল। তাছাড়া শিম জাতীয় সবজির বীজ ইত্যাদিতে আমিষ পাওয়া যায়। খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের সঠিক ধারনাও এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ॥ ৩ ॥ ক) ভিটামিন ’ডি’ এর অভাবে কী রোগ হয়? খ) খাদ্য পরিবেশনে ভুলনীতির ফলে কী হতে পারে ? ব্যাখ্যা কর। গ) চিত্রে এ খাদ্যে উপাদানগুলোর কাজ বর্ণনা কর। ক) উত্তরঃ ভিটামিন ’ডি’ এর অভাবে রিকেটস রোগ হয়। খ) উত্তরঃ খাদ্য পরিবেশনে ভুলনীতির কারণে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। পুষ্টিহীনতার প্রধান কারণ অজ্ঞতা ও অসচেতনতা । খাদ্য পরিবেশনে ভুলনীতির ফলে যা হয় তা হলো-পরিবারের বাড়ন্ত শিশুদের চাহিদা বাদ দিয়ে বয়স্ক ব্যক্তিদের মাছের মাথা, দুধের সর, পনির, চর্বিসহ মাছ ও মাংসের বড় টুকরাকরা মারাত্মিক ভুল। বয়স্ক লোকদের যেমন আমিষ ও চর্বির চাহিদা কম তেমনি এর বিপরীতে বাড়ন্ত শিশু, কিশোর-কিশোরীদের চাহিদা অনেক বেশি। খাদ্য পরিবেশনে ভুলনীতির কারণে পুষ্টিহীনতা খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায়।এর ফলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমানই বেশি। গ) উত্তরঃ উদ্দীপকের এ চিত্রের খাদ্য উপাদানগুলো প্রাণিজ আমিষ। আমিষের পরিচয় অ্যামাইনো এসিড দিয়ে। অ্যামাইনো এসিড হচ্ছে আমিষ গঠনের একক। প্রাণিজ আমিষে লাইসিন, ট্রিপেটোফ্যান, মিথিওনিন, ভ্যালিন, লিউসিন, আইসোলিউসিন, ফিনাইল অ্যালিন ও থ্রিওনাইনকে অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড বলা হয়। প্রাণিজ আমিষে এই শ্রেণির অ্যামাইনো এসিড বেশি তাই এর পুষ্টিমূল্য বেশি।
×