ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়াতেই নতুন ভ্যাট নীতি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৩০ মে ২০১৭

ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়াতেই নতুন ভ্যাট নীতি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়াতেই নতুন ভ্যাট নীতি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ করার পক্ষেও মত দেন। আসছে বাজেট। বাজেটের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইন সামনের বাজেটেই পাস হচ্ছে। ভ্যাটের হার এবং এর আওতা নিয়ে নানা কথা এখন বাজারে। নতুন ভ্যাট আইনের আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব কী হতে পারে- তা জানতে চাওয়া হয় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদের কাছে। ‘ভ্যাটের নতুন আইনে আপত্তি আছে’ জানিয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দরিদ্ররা যেসব পণ্যের ওপর নির্ভরশীল সেসব পণ্য ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা দরকার। নইলে নতুন ভ্যাট নীতিতে বৈষম্য আরও বাড়াবে।’ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব মানুষ দৈনিক পাঁচ শ’ টাকার নিচে আয় করেন এবং তারা যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করেন সেসব পণ্য পুরোপুরিভাবে ভ্যাটের আওতামুক্ত করতে হবে।’ ভ্যাটের হার কমানোর সুপারিশ করে তিনি বলেন, ‘এটি ১০ শতাংশ করলে ভাল হবে। তা না হলে বুঝতে হবে বৈষম্য বাড়াতেই নতুন ভ্যাট নীতি করা হচ্ছে।’ বাজেট প্রসঙ্গে ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যা আয় হচ্ছে, এর রাজস্ব ব্যয় হচ্ছে ৭০ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে উন্নয়নে। সরকারের লোকের বেতন-ভাতা দিতেই সব শেষ। উন্নয়ন হবে কিসে?’ ‘দেড় দশক আগে এমনটি ছিল না’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আয় নেই কিন্তু বেতন বাড়ানো হচ্ছে, এমপিওভুক্ত হচ্ছে। ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে।
×