ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লার সেই পরিবারে মাতম

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৩০ মে ২০১৭

কুমিল্লার সেই পরিবারে মাতম

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৯ মে ॥ জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের গুনানন্দী গ্রামের প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন, তার ছেলে শাহরিয়ার হোসেন ও শাশুড়ি শাহানারা বেগম সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় ওই বাড়িতে এখন চলছে শুধু বুকফাটা কান্না আর মাতম। পরিবারের ৩ জনকে হারিয়ে স্বজনহারাদের আর্তনাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আপনজনদের হারানোর সঙ্গে সঙ্গে রমজান ও ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে ওই পরিবারে। প্রিয়জনদের মরদেহগুলো দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে নিহতের স্বজনেরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোটবাড়ি মাঝিপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী শাহানারা বেগম তার নাতি ও নাতনি নিয়ে ওমরাহ হজ পালন করার উদ্দেশে গত শনিবার রাতে সৌদি আরবে বসবাসরত মেয়ে শাম্মি আক্তার ও জামাতা গুনানন্দী গ্রামের তোফাজ্জলের কাছে যাচ্ছিলেন। রবিবার তারা সৌদি আরবে পৌঁছলে শাশুড়ি ও সন্তানদের বিমানবন্দর থেকে বাসায় নেয়ার জন্য স্থানীয় সময় ৬টায় তোফাজ্জল হোসেন স্ত্রীসহ বিমানবন্দরে যান। ওখান থেকে ফেরার পথে সকাল সাড়ে ৭টায় তাদের বহনকারী গাড়িটি জেদ্দা-আলবাহার সড়কের বাতুয়ায় পৌঁছলে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন, তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে শাহরিয়ার হোসেন ও শাশুড়ি শাহনারা বেগম। ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তোফাজ্জলের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নিহা ও তিন বছর বয়সের মেয়ে আফনান এবং স্ত্রী শাম্মি আক্তার। আফনান ও শাম্মি আক্তার কিছুটা ভাল হলেও নিহা রয়েছে আইসিইউতে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মোবাইল ফোনে এ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির খবর দেশে আসার পর পুরো পরিবারটি এখন শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। তাদের পরিবারের লোকদের আহাজারিতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহত তোফাজ্জল হোসেনের বড় ভাই আবুল কালাম ও আবুল খায়ের জানান, তার ভাই তোফাজ্জল হোসেন স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে আছেন, দেশ থেকে যাওয়া তার শাশুড়ি ও ২ সন্তানকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। স্বজনদের মরদেহগুলো দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
×