ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রীমকোর্টের মূল ভবনের সামনে ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন দাবিতে করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৩০ মে ২০১৭

সুপ্রীমকোর্টের মূল ভবনের সামনে ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন দাবিতে করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টের মূল ভবনের সামনে লিলি ফোয়ারা চত্বরে গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন ও সারাদেশ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের দাবিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে করা একটি রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আবেদনটি আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করে দেন। সারাদেশ থেকে ‘মূর্তি’ সরানোর দাবি জানিয়ে বক্তৃতা দেয়ায় মুফতি রেদুয়ানুল বারী সিরাজী এবং নূর হোসেন কাসেমীর বিরুদ্ধে রিটে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান আইনজীবী আবু ইয়াহইয়া দুলাল। রিটে ধর্ম সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, গণপূর্ত সচিব, সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সভাপতি মুফতি রেদুয়ানুল বারী সিরাজী ও হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি নূর হোসেন কাসেমীকে বিবাদী করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে দায়ের ওই রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ বিব্রতবোধ করে। রিটকারী আইনজীবী আবু ইয়াহইয়া দুলাল সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, রিটে সুপ্রীমকোর্টের মূল ভবনের সামনে লিলি ফোয়ারা চত্বরে গ্রীক দেবীর মূর্তি পুনঃস্থাপন, সারাদেশ থেকে ভাস্কর্য অপসারণসহ দেশের সকল মূর্তি অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারাদেশের ভাস্কর্য রক্ষারও নির্দেশনা চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কোর্টের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ রায় সাংবাদিকদের জানান, রিটের শুনানিতে দুই বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছেন এবং কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তবে রিটকারী আবু ইয়াহইয়া দুলাল বলেন, আদালত রিটের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছে। কিন্তু কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কি-না সেটি বলেনি। এখন রিটটি শুনানির জন্য অন্য কোন কোর্টে উপস্থাপন করা হবে। রবিবার হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী আবু ইয়াহইয়া দুলাল। আবেদনে সুপ্রীমকোর্টের লিলি ফোয়ারা চত্বর থেকে অপসারিত ভাস্কর্য় পুনরায় সেখানে স্থাপনের আর্জি জানানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে সব মূর্তি অপসারণের দাবি করায় খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি মুফতি রেদুয়ানুল বারী সিরাজী ও ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি নুর হোসেন কাসেমীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ভাস্কর্য সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জিও জানানো হয়।
×