ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩০ মে ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

রোজা এসে গেল। তীব্র গরমের ভেতর রোজা এসেছে। রোজার মাসে কর্মস্থলে কর্মঘণ্টার ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা থাকে। কিন্তু ঢাকা এমনই এক ব্যস্ত এবং মানুষের ভারে ভারাক্রান্ত শহর যে অফিস শেষে ঘরে ফিরে পরিবার পরিজন নিয়ে ইফতারি করতে পারবেনÑ এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। রমজানে ফলফলারির চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে খেজুর আর কলার চাহিদা বাড়ে ব্যাপক হারে। গত বছর রমজানের আগেই অভিযান চালিয়ে রাসায়নিক দ্রব্যমিশ্রিত আশি হাজার কলা জব্দ করে নষ্ট করা হয়। এজন্য আঠেরো জনকে দ-ও দিয়েছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। এবার এমন সংবাদ শুনিনি। ব্যবসায়ীরা নিশ্চয়ই সবাই সাধু হয়ে যাননি। ভাবছিলাম এবার রাসায়নিক মিশ্রিত কত হাজার কলা আমাদের মানে রাজধানীবাসীর পেটে যাবে। মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর রাখার দায়ে কেউ সাজা পেয়েছেন এমন খবরও পেলাম না, তাই শঙ্কিত আছি। রোজার মধ্যে নিয়মিতভাবে অভিযান চালানো হলে নগরবাসী উপকৃত হবেন। দেশের প্রতিটি নাগরিকের পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদন, আমদানি ও মজুতকরণ চলছে। এসব খাদ্যপণ্যে ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক উপকরণ কি মেশানো হচ্ছে না? জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিকÑ এটাই কাম্য। লোডশেডিং কমবে সেই আশায়... আবার লোডশেডিং শুরু হয়েছে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় নিয়মিতভাবে। উত্তরায় যে এলাকার লোডশেডিংয়ের ভুক্তভোগী আমি সেখানে দিনে পাঁচ বার লোডশেডিংয়ের ঘটনাও ঘটছে। বেশ সকালে, আবার গভীর রাতে এর আগে তেমন লোডশেডিংয়ের প্রত্যক্ষদর্শী হতে পারিনি। গতবছর থেকে তার ব্যতিক্রম ঘটছে। ঢাকা মহানগর সম্প্রসারিত হতে হতে এতটাই বিস্তৃত হয়েছে যে সব এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত থাকার বিষয়টিও প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হয়। তারপরও গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার এপ্রিল-মে মাসে ঢাকায় একটু বেশি লোডশেডিংয়ের ফলে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। কারণ ঢাকার গরম মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে ফ্ল্যাটগুলোয় বায়ুপ্রবাহ স্বাভাবিক সচল না থাকায় গরম সেখানে আটকে থাকছে। ফলে আরও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে নগরবাসীর। লোডশেডিং বা বিদ্যুতহীনতার সময় বিকল্প বিদ্যুতের জন্য ঢাকার বহু ফ্ল্যাটবাড়িতে জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। যন্ত্রটির তীব্র শব্দ অত্যন্ত বিরক্তিকর। এ জাতীয় শব্দদূষণ কতটা ক্ষতিকর মানবদেহের জন্য এ বিষয়ে এখনও কোন প্রতিবেদন দেখিনি। জেনারেটরের আরেকটা সমস্যা হচ্ছে ফুয়েলের গন্ধ দ্রুত বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। জেনারেটরের অবস্থানের কাছাকাছি ফ্ল্যাটের ভেতরে সেই তীব্র গন্ধ এবং কখনও কখনও ধোঁয়া ঢুকে পড়ে। এও বাসিন্দাদের জন্য চরম বিরক্তির কারণ। বিদ্যুতবিঘিœত শহরকে পুরোপুরি শহর বলা যায় কি? আমাদের রাজধানীরই যদি এই দশা হয় তাহলে রাজধানীর বাইরের শহরগুলোর পরিস্থিতি আরও কত অসহনীয় তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এতে কোন সন্দেহ নেই। আবার জাতীয় সঞ্চালন লাইন থেকে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের খানিকটা ভাগ সঞ্চয় বা ধরে রাখার জন্যও বাড়তি বিদ্যুত লাগে। বহু বাড়িতেই আইপিএস যন্ত্রটি রয়েছে যেটি লোডশেডিংয়ের সময় সঞ্চয়কৃত বিদ্যুতের মাধ্যমে বাতি ফ্যানসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটায়। তার ওপর নতুন বিপদ হয়েছে। অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে অতিরিক্ত বিদ্যুত ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ট্রান্সমিটারে বিদ্যুতের লোড বাড়ছে। সাধারণ মানুষের কাছে বিদ্যুত পরিস্থিতি উন্নতির একটি সাধারণ পরিমাপক হলো, লোডশেডিং হচ্ছে কি হচ্ছে না; কিংবা লোডশেডিং হলেও তা কতক্ষণ। আর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করতে না পারলেও তাকে লোডশেডিং বলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আমাদের এ পুরনো ট্রান্সফরমার, পুরনো লাইনগুলোকে বদলাতে গিয়েই কিন্তু মাঝে মাঝে বিদ্যুতকে বন্ধ রাখতে হচ্ছে এবং বেশকিছু জায়গায় ট্রিপ করে যচ্ছে।’ এবার প্রতিমন্ত্রী আমাদের নতুন শব্দ উপহার দিলেন, বললেন লোডশেডিং নয়, লোড শেয়ারিং চলছে। তবু প্রতীক্ষা করছি লোডশেডিং কমার আশা নিয়ে। ভাস্কর্য অপসারণ ও পুনঃস্থাপন হেফাজতের দাবি অনুযায়ী সুপ্রীমকোর্টের সামনে থেকে ন্যায়বিচারের প্রতীক ভাস্কর্যটি অপসারণ করার পর এ নিয়ে নানা ঘটনার জন্ম হয়। শনিবার জনকণ্ঠের প্রথম পাতাতেই ছিল এ সংক্রান্ত চারটি সংবাদ যাতে উঠে আসে চলমান চিত্র। বিশিষ্টজনেরা প্রতিবাদ জানান বিবৃতি দিয়ে। বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন নেতা। একদিন পরে তারা জামিন পান। সংস্কৃতিকর্মীরা শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন। ফেসবুক ভরে ওঠে সমালোচনায়। অবশ্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকতে থাকতেই ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপিত হয় সুপ্রিম কোর্টেরই বর্ধিত ভবনের সামনে। গত সপ্তাহে ঢাকার আলোচিত ঘটনার মধ্যে এটি শীর্ষে ছিল, নিঃসংশয়ে বলা চলে। এর ভেতর দিয়ে ভাস্কর্য, মূর্তি ও প্রতিমার পার্থক্য সম্পর্কে এক ধরনের সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টাও পরিলক্ষিত হয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মাঝে। নগরীর চূড়ায় কৃষ্ণচূড়া মহাব্যস্ত ঢাকাবাসীর কি আছে প্রকৃতির সৌন্দর্যের দিকে তাকানোর অবসর? আমরা না ফিরে চাইলেও প্রকৃতি আমাদের অনেক সময় বাধ্যও করে তার রূপ দর্শনে। আমরা অজান্তেই সেই রূপের জালে ধরা দেই। আমাদের জনকণ্ঠেরই প্রথম ও শেষ পাতায় কয়েকবার জায়গা করে নিয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এবারের গ্রীষ্মে রচিত ‘কদর্য-চূড়ায় কৃষ্ণচূড়া’ কবিতা থেকে কয়েকটা লাইন তুলে দিলে কেমন হয়? কদর্য পঙ্কিল কৃষ্ণ-নগরীর চূড়ায় চূড়ায় আগুন জ্বালিয়ে দিলো ওই কৃষ্ণচূড়া ছাড়িয়ে উদ্ধত মাথা উঁচু টাওয়ারের বহুতল ভবনের দর্প দম্ভ নিঃশব্দে গুঁড়িয়ে ঘুমতাড়ানিয়া প্রবল প্রলয় ঘূর্ণিনাচ তার অনৈতিক সাম্রাজ্যের ’পরে সুন্দরের প্রতিবাদ ওপরে প্রাঙ্গণ তার প্রসারিত, নীলিমা অসীম; ভূমিলগ্নদের বলে, শোনো- আকাশের কাছে জেনে নাও কাকে বলে ঈর্ষাহীন উদারতা; রঙের উচ্ছ্বাস তীব্র তীক্ষè কড়া আনকোরা- এও এক ধরনের সানন্দ সঘন আমন্ত্রণ বিবর্ণ জীবন যতো রঙে সাজানোর আমন্ত্রণ... এক সাংবাদিক বন্ধু লিখে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সোনালু ফুলের প্রতি। ফুলের ছবি তুলতে গিয়ে তার বিশেষ অভিজ্ঞতা হয়েছে। তিনি বলছেন, আমরা যতই বসন্ত বন্দনা করি, গ্রীষ্মের ফুলের বৈচিত্র্য অনেক বেশি, সংখ্যায়ও। রঙের তীব্রতায় আর বৈচিত্র্যে গ্রীষ্ম সবসময় ঝলমল করে। কৃষ্ণচূড়া তো গ্রীষ্মের সাইনবোর্ড, কিন্তু সোনালুকে আপনি উপেক্ষা করতে পারবেন না। থোকায় থোকায় ঝুলতে থাকা হলুদ আপনার দৃষ্টি টানবেই। কনকচূড়াও হলুদ, কিন্তু সোনালুর হলুদটা অনেক বেশি দৃষ্টিসুখকর। গ্রামে অবশ্য আমরা বলতাম, বান্দরের লাডি। সোনালুর ফলটা লম্বা, লাঠির মতো। সেই লাঠি সত্যিই বানর ব্যবহার করে কিনা জানি না। সোনালু ফুলের কেশরগুলো বাঁকা, আরেকটু বাঁকা করে চেইনের মতো বানিয়ে গলায় পরতাম। একঘণ্টা কষ্ট করে বানানো চেইন হয়ত পাঁচ মিনিট টিকত। কিন্তু বানানোর আনন্দটাই ছিল প্রাপ্তি। দেশের সবচেয়ে বড় সোনালুর সমাহার সংসদ ভবন চত্বরের ভেতরের আড়াআড়ি রাস্তাটিতে। সকালে পাপড়ি পড়ে রাস্তাটি এমন মোহনীয় রূপ নেয়, চেনা জায়গা অচেনা হয়ে যায়। ফল-ফলারির শহর কি নেই ঢাকায়? এখনো আম, জাম, পেয়ারা, লেবু, আমলকী, কাঁঠাল, কলা, জামরুল, বেতফল, কামরাঙ্গা, পেপে, তাল, নারিকেল, সুপারি, তেঁতুল, জলপাইসহ রয়েছে আরও কত গাছ। গাছগুলোয় ফল ধরে, অনেক ফল গাছেই পাকে। কিছু গাছে পাখির বাসাও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে ফল, ফুল, গাছ থাকবে তো নিরাপদ? একটা পাখি যখন বটের ফল মুখে নিয়ে উড়াল দেয় তখন সে দৃশ্য দেখে অনেকেরই প্রাণ জুড়ায়। আর যিনি গাছটা লাগিয়েছিলেন, তার কেমন অনুভূতি হয়? নিশ্চয়ই তার মনে হয়Ñ গাছটা লাগিয়ে ছিলাম শুধু এই দৃশ্যটা দেখার জন্যই। এতেই সার্থকতা। নিজের মনের তৃপ্তির আর প্রকৃতির প্রতি ভালবাসায় ঢাকাবাসী গাছ লাগান ঢাকার রাস্তায়। আসা যাক ফলের কথায়। ঢাকার বারো মাস বিকিকিনিতে ব্যস্ত ফলের দোকান তো রয়েছেই, গত এক-দুই মাসে ঢাকা জুড়ে অস্থায়ী ভাসমান ফলের দোকানও বসেছে প্রচুর। এমনকি ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকানও দেখা যাচ্ছে শহরে। ঝুড়িভর্তি আম কিংবা লিচু নিয়ে ফুটপাথে বসে পড়ছেন গ্রাম থেকে আসা মৌসুমি দোকানি। এসব ছোট ছোট দোকানিদের কাছে বরং কিছুটা কম দামে ফল পাওয়া যায়। অভিজাত সুপার শপগুলো থেকেও বহু লোক ফল কেনেন। তবে যারা বেশি খুঁতখুঁতে তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোকান নয়, বরং রাস্তার পাশের খুচরো ফল বিক্রেতার কাছ থেকে দেখেশুনে দরদাম করে ফল কিনতে পছন্দ করেন। বোশেখ-জষ্টি মাসে মৌসুমী ফলের কল্যাণে ঢাকার রূপ যেমন কিছুটা বদলে যায়, তার গন্ধেও খানিকটা পরিবর্তন আসে বৈকি। গন্ধ বলতে সুঘ্রাণ ও দুর্গন্ধ দুটোই বলা যায়। বিচিত্র রঙের ফলে ভরে ওঠা দোকানগুলো দেখতে ভারি ভাল লাগে, আর তা আমাদের গ্রামের কথাও মনে পড়িয়ে দেয়। গ্রীষ্মে রসালো ফল দেহের জন্য উপকারী তা বলাই বাহুল্য। অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে বেশি পুষ্টি পাওয়ার উপায় হলো মৌসুমী ফল খাওয়া। বিশেষ করে তরমুজের দুটি ফালি কিংবা কাঁঠালের দশ-বারোটি কোয়া খেলে এক বেলার খাবার হয়ে যায়। ঢাকার শ্রমজীবী মানুষ বলতে সবার আগে যে কয়টি পেশার নাম চলে আসে তার ভেতর রয়েছে রিক্সাচালনা, পোশাক-শ্রমিক ও নির্মাণ-মজুর। এদের সীমাবদ্ধ আয়ের টাকা দিয়ে ক্রয়ক্ষমতা আর কতটুকুই বা অর্জিত হয়। তাই রাজধানীতে রাস্তার পাশে এদেরই এক ফালি তরমুজ কিংবা এক প্লেট কাটা আনারস কিনে খেতে বেশি দেখা যায়। যাত্রীবান্ধব সিএনজি যাত্রীবান্ধব এক সিএনজি অটোরিক্সা চালকের ব্যতিক্রমী বিষয়আশয় উঠে এসেছিল ফেসবুকে। সেটি শেয়ার করছি এমনটা ভেবে যে ঢাকাবাসী সিএনজি যাত্রীরা বাহনে উঠে যদি তার চালককে গল্পটি বলেন তাহলে কিছু অটোরিক্সায় অন্তত ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। কারণ সিএনজি নিয়ে যাত্রীদের অভিজ্ঞতার সিংহভাগই নেতিবাচক। ইতিবাচক কিছু পাওয়ার প্রত্যাশাতেই এই লেখা। ‘একদিন রাতের ঘটনা, পান্থপথ থেকে বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠলাম। সিএনজিতে উঠেই দেখলাম উপরে ফ্যান ঘুরছে, ভাবলাম যাক ভালই হলো, আরামে যাওয়া যাবে! কিন্তু আস্তে আস্তে আরও অনেক কিছুই আবিষ্কার করতে থাকলাম, যেমন টিউবলাইট, ছাতা, কাগজ-কলম ইত্যাদি। সিএনজি চালককে কারণ জিজ্ঞেস করতেই এক এক করে সবকিছুই বলতে লাগল। মামা, ফ্যানটা আসলে ছোট বাচ্চা, বৃদ্ধ মানুষ এবং অসুস্থ রোগীর জন্য লাগিয়েছি। জ্যাম আর গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যায়। আর সামনে বৃষ্টির মৌসুম তো তাই ছাতা রাখছি। এবার একটু কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম তাহলে এই খাতা-কলম কেন। বলল, অনেক সময় যাত্রীরা মোবাইলে কথা বলার সময় কারও মোবাইল নাম্বার লেখার প্রয়োজন হয়, তখন কিছুই পাওয়া যায় না, তাই রাখছি। আরও বলল, মোবাইল, ল্যাপটপ চার্জ দেয়ার ব্যবস্থাও রাখছি। সত্যি তো, তাকিয়ে দেখি স্মার্ট ডিভাইসগুলো চার্জ দেয়ার একটা সিস্টেম করা আছে তবে ল্যাপটপ চার্জ দেয়ার সিস্টেম ছিল না। সিএনজির ছাদে লাগানো সূর্যরশ্মি প্রতিরোধক কভার দেখিয়ে বলল, এটা লাগিয়েছি যেন যাত্রীদের রোদের তাপ বেশি না লাগে। গলায় ঝুলানো আইডি কার্ডটা দেখিয়ে বলল, ‘এটা নীলক্ষেত থেকে করেছি, একশ’ টাকা লাগছে। এটাতে আমার নিজের এবং বাসার অন্য সবার মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে, যদি কখনও দুর্ঘটনায় পড়ি তাহলে যেন আমার বাসার মানুষ খবরটা পায়, এজন্য এটা করিয়েছি।’ ২৮ মে ২০১৭ [email protected]
×