ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রহস্যেঘেরা মাদ্রাসার খোঁজ নেয়া শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৯ মে ২০১৭

রহস্যেঘেরা মাদ্রাসার খোঁজ নেয়া শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৮ মে ॥ রহস্যে ঘেরা ক্যাডেট মাদ্রাসা তালিম দেয় মিশর থেকে আসা এক শিক্ষক শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠে রবিবার শেষের পাতায় রিপোর্ট প্রকাশে পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। গোয়েন্দা পুলিশও খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। গ্রামের সহজসরল নারীদের জড়ো করে পুরুষের দেয়া তালিমও শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে নারীদের আবাসিক শাখা। মহিপুর থানার এসআই হাফিজুর রহমান রবিবার বেলা ১১টা থেকে দীর্ঘ সময় ওই মাদ্রাসায় গিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটির কোন পাঠদানের সরকারী অনুমতি নেই। দাখিল পর্যন্ত আলিয়া লাইনে পড়াশোনার কথিত প্রিন্সিপাল মাওলানা ইসমাইল হোসেন দাবি করলেও সাইনবোর্ডে খাইরুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসা কেন। ক্যাডেট মাদ্রাসার কোন কার্যক্রম নেই কেন। এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। এছাড়া সকল শিক্ষকের কাগজপত্র নিয়ে থানায় যাওয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশ এদের ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক কর্মকা- সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। তবে গ্রামের অসংখ্য মানুষের দাবি এদের সঙ্গে বহিরাগত কোন জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন আর্থিক উৎস সম্পর্কে। সবচেয়ে মজার বিষয় স্থানীয় কোন প্রশাসন কিংবা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কেন এ প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে স্বচ্ছ কোন ধারণা নিতে পারেননি। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসমাইল হোসেন রবিবারও জানান, মসজিদের ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য বিরোধের শিকার তিনি। ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর সন্তান জন্মদানে নতুন আশা ক্যান্সার আক্রান্ত অল্পবয়সী তরুণী এবং প্রজননক্ষম নারীদের চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা খুব কমে যায়। অথচ ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ার পর পর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী সন্তান নেয়ার বাসনা অনুভব করেন। এ আকাক্সক্ষা তখনই পুরো হতে পারে যদি ক্যান্সার চিকিৎসা শুরু করার আগেই রোগীর ওভারি (জরায়ু) সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়। রোগী ক্যান্সারমুক্ত হওয়ার পর তিনি সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নিলে সংরক্ষিত জরায়ু টিস্যু পুনরায় তার দেহে প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্লান্ট) করা যেতে পারে। গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ওভারি টিস্যু ক্রায়োপ্রিজারভেশন এবং ট্রান্সপ্লান্টেশন করা হয়েছে এবং ২০টি সফল শিশু জন্মদানের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আর বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়ার প্রথম দৃষ্টান্তটি সম্প্রতি স্থাপন করেছে স্কয়ার হসপিটালের চিকিৎসকদের একটি দল। স্কয়ার হসপিটালের স্কয়ার ফার্টিলিটি সেন্টারের ড. রেহনুমা জাহান, ড. সুরেশ কাট্টেরা, ড. শায়লা সিরাজ এবং ড. পারিজা জামানের সমন্বয়ে গড়া দলটি স্টেজ টু ব্রেস্ট ক্যান্সার আক্রান্ত এক রোগীকে সর্বাধুনিক ক্রায়োপ্রিজারভেশন টেকনিক; ভিট্রিফিকেশন প্রয়োগ করে এবং পরে ল্যাপোরস্কোপির মাধ্যমে একটি জরায়ু অপসারণের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম ওভারিয়ান টিস্যু ক্রায়োপ্রিজারভেশন সম্পন্ন করেছেন। -বিজ্ঞপ্তি।
×