ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উৎকোচের টাকা ফেরত ॥ মুচলেকা দিয়ে রক্ষা

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৯ মে ২০১৭

উৎকোচের টাকা ফেরত ॥ মুচলেকা দিয়ে রক্ষা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২৮ মে ॥ কটিয়াদীতে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলার ৫টি স্কুল থেকে ৪০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন পরিদর্শক। শনিবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্টরা অভিযুক্ত সেকায়েপ প্রকল্পের কর্মকর্তা নাজমুল হককে উৎকোচের টাকাসহ আটক করে। খবর পেয়ে ইউএনও নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে উৎকোচের টাকা ফেরত ও মুচলেকা দিয়ে ওই পরিদর্শককে ছেড়ে দেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ প্রকল্পের নাজমুল হক নামে কর্মকর্তা শনিবার দিনভর উপজেলা সদর পাইলট মডেল স্কুল, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, জালালপুর বালিকা বিদ্যালয় ও জালালপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে যান। তিনি নিজেকে মন্ত্রণালয়ের ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার রিপোর্টের ওপর আপনাদের স্কুল সরকারীকরণ হবে। এ কথা বলে পাইলট মডেল স্কুল থেকে ১০ হাজার, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার, আদর্শ বিদ্যা নিকেতন থেকে ১০ হাজার, জালালপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৫ হাজার এবং জালালপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। কিন্তু বাধ সাদে জালালপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক। তার কাছে উৎকোচ চাইলে তিনি প্রথমে এক হাজার না মানলে পরে আরও এক হাজার এভাবে দর কষাকষি করে পরে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। পরে ইউএনও তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচয় জানতে চান এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন নাজমুল হককে উল্লেখিত স্কুলগুলোর সেকায়েপ প্রকল্পের তথ্য হালনাগাদকরণের কাজে প্রেরণ করা হয়। তিনি তার আসল পরিচয় গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিদ্যালয় প্রধানদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করেন। এর আগেও তিনি ভৈরবের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন। মহেশখালী জেটিঘাট জরাজীর্ণ ॥ যাত্রী দুর্ভোগ স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালী দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌ-পথ। কিন্তু এই পথে মহেশখালীতে জরাজীর্ণ একটি জেটিঘাট থাকলেও কক্সবাজার প্রান্তে কোন স্থায়ী ঘাট নেই। ভাটার সময় হাঁটু পানি ও কাদাপথ পাড়ি দিয়ে ট্রলার ও স্পিডবোটে উঠতে হয় যাত্রীদের। মহেশখালী জেটি ঘাটটি ১৯৮৯ সালে নির্মিত হলেও এখনও সংস্কার করা হয়নি। এত দুর্ভোগে পড়লেও যাতায়াতকারীরা নিস্তার পাচ্ছে না টোল আদায়কারী চক্রের কবল থেকে। যাত্রী ও মাল থেকে টাকা নিলেও কোন উন্নয়ন হচ্ছে না জেটিঘাটের। স্পিডবোটের একাধিক যাত্রী জানান, ভাটা শুরু হলে নেমে আসে দুর্ভোগ। ভাটা শুরুর পর অল্প সময়ের জন্য ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে জেটিতে যাত্রী পারাপার করা যায়। ভাটাপূর্ণ জেটি থেকে অন্তত ২০০ গজ দূরে আটকে পড়ে সব ধরনের নৌযান। এ সময় কোন নৌযান ঘাটে ভিড়তে পারে না। এমনকি ডিঙ্গি নৌকাও চলাচল করতে পারছে না।
×